অম্বলের সমস্যা থাকলে টোম্যাটো খেতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
মাছের ঝোল থেকে চাটনি, টোম্যাটো আছে সবেতেই। সাধারণত বহু রান্নাতেই স্বাদ বাড়ানো এবং লালচে রং আনতে ব্যবহার করা হয় টোম্যাটো। এই আনাজটি কাঁচা ব্যবহার করা হয় স্যালাডেও। অর্থাৎ, যেমন সব্জির মতো রান্না করা হয়, তেমনই ফলের মতো কাঁচাও খাওয়া হয়ে থাকে টোম্যাটো। পুষ্টির নানা উপাদানে পরিপূর্ণ টোম্যাটো। বিভিন্ন ভিটামিন এবং নানা ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬, বি৭ এবং সি থাকে টোম্যাটোতে। রান্নায় টোম্যাটো দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে শরীরের প্রতিরোধশক্তিও। টোম্যাটোতে থাকা লাইকোপিন আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ওজন ঝরাতেও টোম্যাটো দারুণ উপকারী। উপকারী হলেও খুব বেশি মাত্রায় টোম্যাটো খাওয়াও উচিত নয়, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য টোম্যাটোও খেতে হবে নিয়ম মেনে।
১) টোম্যাটোতে অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাই অম্বল, বদহজমের সমস্যা থাকলে রোজ টোম্যাটো না খাওয়াই ভাল।
২) কাঁচা টোম্যাটো মোটেই খাওয়া উচিত নয়। আর যদি খেতেই হয়, তা হলে বীজ বাদ দিয়ে খেতে হবে।
টোম্যাটো বেশি মাত্রায় খেলে আর কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) অতিরিক্ত পরিমাণে টোম্যাটো খেলে বেড়ে যেতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা। কারণ, টম্যাটোয় রয়েছে সোলানাইন নামক যৌগ। যা শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।
২) টোম্যাটোতে আছে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ। যা ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। মুখ, গলা, জিভে সংক্রমণ হতে পারে। তবে সকলের এই সমস্যা হয় না।
৩) কিডনির সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশিই থাকে। তার উপর রান্নায় অতিরিক্ত পরিমাণে টোম্যাটো দিলে বা টোম্যাটোজাত জিনিস খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
৪) অতিরিক্ত টোম্যাটো খেলে রক্তে ‘লাইকোপিন’ নামক যৌগের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে ফ্যাকাশে হয়ে যায় ত্বকের রং। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় লাইকোপেনোডার্মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy