অতিরিক্ত ওজন, কায়িক শ্রমের অভাব, ফ্ল্যাট ফুট-সহ নানা কারণে হাঁটুর অস্থিসন্ধির সমস্যা দেখা দেয়। প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত মেদ কিংবা ডায়াবিটিস থেকে মুক্তির সহজ সমাধান হিসাবে অনেকেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন। এতে ওজনের সমস্যা হয়তো কিছুটা কমে কিন্তু হাঁটুর ব্যথা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাময়িক ভাবে বেড়ে গেলেও সম্ভব হলে সিঁড়ি চড়া বন্ধ না করাই উচিত।
কেন হয় হাঁটুর ব্যথা?
মানবদেহের অন্যতম প্রধান ভারবাহী অস্থিসন্ধি হাঁটু। অতিরিক্ত ওজন, কায়িক শ্রমের অভাব, ফ্ল্যাট ফুট-সহ নানা কারণে হাঁটুর অস্থিসন্ধির সমস্যা দেখা দেয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাত হলেও হাঁটুতে ব্যথা হয়। এ ছাড়া হাঁটু ও ঊরুর পেশি দুর্বল হলেও হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত দৌড়াদৌড়ি করলেও হাঁটুর অস্থিসন্ধির দুর্বলতা বাড়ে, সেই থেকেও ব্যথা হয়।
হিতে বিপরীত
অনেকেই ব্যথা শুরু হলে হাঁটাচলা বন্ধ করে দেন। কেবল ওষুধের ভরসায় থাকেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অতি সাবধানী হতে গিয়ে এই অস্থিসন্ধি আরও কমজোরি হয়ে যেতে পারে।
পেশির শক্তি বাড়াতে হবে
আর্থ্রাইটিস জনিত হাঁটুর ব্যথা কমানোর তেমন কোনও ওষুধ নেই। নিষ্কৃতি পাওয়ার একমাত্র উপায় পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্যথার শুরুতেই কোয়াড্রিসেপস মাসলের ব্যায়াম করা যেতে পারে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ওজন সহজে বাড়ে না। ওজন কম থাকলে হাঁটুর উপরেও কম চাপ পড়ে। সমস্যা অল্প থাকলে প্রতি দিন ৩০ থেকে ৪০টি সিঁড়ি ওঠানামার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কার্টিলেজের সমস্যা
সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় পায়ের প্যাটেলা ও ফিমারের ঘর্ষণ হয়। যাঁদের হাঁটু সুস্থ ও স্বাভাবিক, তাঁদের অস্থিসন্ধিতে যে কার্টিলেজ থাকে তা এই দুটি হাড়ের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু চোট আঘাত থাকলে কিংবা বয়স বেড়ে গেলে এই কার্টিলেজ ক্ষয় হয়ে যায়। তখন হাড়ের ঘর্ষণে হাঁটু ব্যথা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেয়ে নামার সময় বেশি সতর্ক থাকা দরকার। কারণ নামার সময় শরীরের ওজনের প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেশি ভার পড়ে হাঁটুর উপর। যাঁদের হাঁটুর অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁরা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আগে ব্যায়াম করে পেশির শক্তি বাড়াতে পারেন। ব্যথা শুরুর সময় থেকেই যদি ব্যায়াম করা যায়, তা হলে অস্থিসন্ধির ক্ষয় অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। তবে হাঁটু একেবারে ক্ষয়ে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা হলে প্রতিস্থাপন ছাড়া আর উপায় থাকে না।
তবে কোন সমস্যা থেকে হাঁটু ব্যথা করছে, তা বুঝে ওঠা কঠিন। তাই ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy