চিনি, নুন ছাড়াই খাবার খাচ্ছেন? ছবি: শাটারস্টক
খাবারে নুন-চিনি কম বা বেশি হলে শুধু রান্নার স্বাদ নষ্ট হয় না, ক্ষতি হয় স্বাস্থ্যেরও। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজের খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত নুন-চিনি থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। এ অভ্যাসের হাত ধরে ওজন বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, হার্টের সমস্যার মতো রোগের চোখরাঙানি বাড়ে। সেই ভয়ে অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে নুন ও চিনি একেবারে বাতিল করে দেন। কিন্তু জানেন কি, শরীরে এই উপাদানগুলির ঘাটতি হলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা?
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় সোডিয়াম ও শর্করার প্রয়োজন। নুন একটি খনিজ, যা শরীরে তরল ও অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে, স্নায়ুগুলির কার্য পরিচালনা করতে এবং পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, চিনি হল এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট, যা আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। এখন পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়া কেবল সমাজমাধ্যমের উপর ভরসা করেই অনেকে বিভিন্ন রকম ডায়েট মেনে চলতে শুরু করেন। সেই ডায়েটে চিনি ও নুন একেবারে থাকে না বললেই চলে। দীর্ঘ দিন এ প্রকার ডায়েট মেনে চললে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
নুন-চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে?
চিনিজাতীয় শর্করা থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির সঞ্চার হয়। হঠাৎ চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে আপনার কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে। শরীরে ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে। কাজে মন বসানো কঠিন হয়ে যেতে পারে। নুন হল আয়োডিনের ভাল উৎস। নুনে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড ইলেকট্রোলাইটকে ব্যালান্স করতে সাহায্য করে। শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি দেখা গেলে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। যার ফলে শরীরে হাইপোথাইরয়েডিজ়মের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি, আয়োডিন-যুক্ত নুন শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই, পরিমিত মাত্রায় নুন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
তবে যে সব খাবারে অতিরিক্ত নুন-চিনি রয়েছে, তা-ও খাওয়া উচিত নয়। মূলত প্যাকেটজাত পানীয় ও খাবারে নুন, চিনি বেশি মাত্রায় থাকে। ফলে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। কী ভাবে রোজকার ডায়েটে নুন-চিনি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করবেন?
১) খাওয়ার টেবিলে নুন রাখার পাত্র রাখবেন না। অনেকেরই পাতে নুন নিয়ে খাওয়া স্বভাব আছে। সবার আগে এই অভ্যাসে বদল আনুন।
২) বাজারচলতি কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনার আগে প্যাকেটের গায়ে নুন ও চিনির পরিমাণটা ভাল করে দেখে নেবেন। খুব ভাল হয় যদি এই খাবারগুলি একেবারেই এড়িয়ে চলতে পারেন।
৩) ঠান্ডা পানীয় কিংবা সোডা জাতীয় পানীয় খেয়ে থাকেন? এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। তার পরিবর্তে ফল অথবা ফলের রস খেতে পারেন।
৪) সরাসরি চিনি না খেয়ে চিনির পরিবর্তে কিশমিশ, গুড়, মধু খেতে পারেন। তবে তা যেন অবশ্যই পরিমিত মাত্রায় হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy