প্রতীকী ছবি।
শরীর সুস্থ রাখতে ভাত খাওয়ার বিকল্প নেই। রোগা হওয়ার ডায়েটেও ভাত রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কার্বোহাইড্রেটের সমৃদ্ধ খনি হল ভাত। চাঙ্গা থাকতে অন্য সব উপাদানের মতো কার্বোহাইড্রেটেরও প্রয়োজন রয়েছে। তা পেতে গেলে ভাত খাওয়া ছা়ড়া উপায় নেই। ভাত খাওয়ার সঙ্গে শরীরের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি ভাতের সঙ্গে খেলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
রুটি
শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। কারণ ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের সমতা বজায় রাখতে অনেকেই ভাত আর রুটি একসঙ্গে খান। না জেনেই এমন খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত অনেকে। আসলে ভাত এবং রুটি এই দুইয়েরই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। ফলে একসঙ্গে খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আলু
অফিস থেকে রাতে ফিরে যে খাবারটি সবচেয়ে তাড়াতা়ড়ি বানানো যায়, তা হল আলু সেদ্ধ আর ভাত। তবে পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে, ভাতের সঙ্গে আলু খাওয়ার কিছু অস্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। দু’টি খাবারেই ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
ফল
ভাতের সঙ্গে ফল খাওয়ার রেওয়াজ খুব একটা নেই। তবু সতর্ক থাকা ভাল। ফলের সঙ্গে ভাত খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা ফল হলে তো ঝুঁকি আরও বেশি। তাই ফলের সঙ্গে ভাত সচেতন ভাবে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
কর্ন
আলুর মতোই ভাতের সঙ্গে কর্ন খাওয়া বারণ। কর্নে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। স্টার্চ এমনিতে শরীরের জন্য ভাল নয়। তার উপর ভাতে থাকা ক্যালোরি এবং স্টার্চ একসঙ্গে পেটে গেলে মোটা হয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
চা
ভাতের সঙ্গে চা ভুলেও কেউ খায় না। তবে চা খাওয়ার পরেই ভাত কিংবা ভাত খাওয়ার পরেই চা খান অনেকে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই অভ্যাস ত্যাগ করতেই হবে। চায়ে থাকা ট্যানিন ক্যালোরির সঙ্গে বিক্রিয়ায় গ্যাস উৎপন্ন করে। ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy