দেশে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানালেন, কোভিড সংক্রমণ যাঁদের ক্ষেত্রে তীব্র আকার নিয়েছিল, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে হলে ভারী কোনও কাজ কিংবা ভারী ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করা বন্ধ করতে হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইএমসিআর)-এর একটি গববেষণার উল্লেখ করেন তিনি। মনসুখ বলেন, ‘‘‘আইএমসিআর’-এর গবেষণা অনুযায়ী, যাঁরা তীব্র কোভিড সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের অন্তত এক থেকে দু’বছর ভারী কোনও কাজ এড়িয়ে চলা উচিত।’’
করোনা ভইরাসের থাবায় যখন বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি মানুষের প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তখন ভরসা জুগিয়েছিল কোভিডের টিকা। কিন্তু কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও নানা মহলে নানা রকম মতভেদ তৈরি হয়েছিল। একদল দাবি করেছিলেন, অল্প বয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধির জন্য দায়ী এই টিকা। অনেকেই আবার দাবি করেছিলেন, কোভিড আসার পরেই বেড়ে গিয়েছে অকালমৃত্যুর হার।

কোভিডের টিকাতেই কি লুকিয়ে বিপদ? ছবি: শাটারস্টক।
১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে কেন বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, তা নিয়ে গবেষণা করে আইসিএমআর। গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯-এর টিকা নেওয়ার জন্য তরুণদের আকস্মিক মৃত্যুর হার বাড়েনি। কোভিড টিকা নয়, জীবনযাপনে একাধিক অনিয়ম, দেদার মদ্যপান, কঠোর শরীরচর্চার কারণেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। এ ছাড়া, যাঁরা তীব্র কোভিড সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।