Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Microplastic

খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিকও খেয়ে চলেছেন! ৭ উপায়ে অনেকটাই এড়ানো যাবে বিপদ

পরিবেশবিদেরাই বলছেন, এ যুগে মাইক্রোপ্লাস্টিকের শরীরে প্রবেশ অবধারিত। তাকে পুরোপুরি আটকানো যাবে না। তবে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক হলে অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিককে।

ছবি : সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৭
Share: Save:

স্বাস্থ্যকর খাবার ভেবে খাচ্ছেন, অথচ আপনার অলক্ষ্যেই সেই খাবারে মিশে শরীরে প্রবেশ করছে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’। অর্থাৎ অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা। স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক স্বাস্থ্যের জন্য ‘সাক্ষাৎ যম’। নিয়মিত শরীরে প্রবেশ করলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে, ডিএনএ-র ক্ষতি করতে পারে, প্রজনন ক্ষমতা কমাতে পারে এমনকি, কোষ নষ্টও করে দিতে পারে। কিন্তু মুশকিল হল, মাইক্রাপ্লাস্টিককে আটকানো মুশকিল। পরিবেশবিদেরাই বলছেন, এ যুগে মাইক্রোপ্লাস্টিকের শরীরে প্রবেশ অবধারিত। তাকে পুরোপুরি আটকানো যাবে না। কারণ, প্লাস্টিক কণা শুধু খাবারে মিশে নয়, ত্বকের রন্ধ্র এমনকি, শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকতে পারে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক হলে, অনেকটাই এড়ানো যেতে পারে মাইক্রোপ্লাস্টিককে।

সব সময় জল ফিল্টার করুন

কলের জলেও মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকতে পারে। তাই জল সব সময় ফিল্টার করে খান। ফিল্টার মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা অনেকটাই ছেঁকে ফেলে। ‘রিভার্স অসমোসিস’-এর মতো আধুনিক ফিল্টার পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী।

বাইরের প্যাকেটজাত খাবার এড়ান

বাড়িতে রান্না করা খাবার খান। বাইরে থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। প্লাস্টিকের পাত্র থেকে খাবারে প্লাস্টিক কণা মেশার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে গরম খাবার প্লাস্টিকের পাত্রে থাকলে তা থেকেও খাবারে প্লাস্টিক কণা মেশার সুযোগ থাকে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে সেই বিপদ এড়ানো যায়।

প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার না করাই ভাল।

প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত

ধাতব বা কাচের পাত্র ব্যবহার করুন

বাড়িতেও যে কোনও খাবার রাখার ক্ষেত্রে কাচ বা ধাতব পাত্র ব্যবহার করুন। এগুলি অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ, কাচ বা ধাতব পাত্র খাবারকে দূষিত করে না। কিন্তু প্লাস্টিক কোনও ভাবে গরম হলে বা ভেঙে গেলে খাবারে মিশতে পারে।

এক বার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বর্জন করুন

মাইক্রোপ্লাস্টিক সমস্যার আসল খলনায়ক হল গ্লাস, প্যাকেট, স্ট্র-এর মতো এক বার ব্যবহার্য প্লাস্টিক। প্যাকেটজাত খাবারের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় বেশি। প্লাস্টিকের কাঁটা-চামচ, কৌটো, ট্রে ইত্যাদি এক বার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়। পরিবেশবিদেরা বলছেন, হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার করুন। অথবা পরিবেশবান্ধব জিনিসের ব্যবহার করুন।

ধাতু বা কাচের বাসন ব্যবহার করুন।

ধাতু বা কাচের বাসন ব্যবহার করুন। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার

প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার কমাতে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ, যেমন চট বা সুতির ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। সেগুলিই ব্যবহার করুন। পোশাক-আশাকের ক্ষেত্রেই সুতি, উল, লিনেনের পোশেক ব্যবহার করুন। পলিয়েস্টার জাতীয় পোশাক এড়িয়ে চলুন। একই জিনিস মাথায় রাখতে হবে নিত্যব্যবহারের তোয়ালে, বিছানার চাদর বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও।

সামুদ্রিক খাবারে প্লাস্টিকের উপস্থিতি

সামুদ্রিক মাছেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছেন গবেষকেরা। মানুষের বর্জ্য বহু প্লাস্টিক গিয়ে জমছে সমুদ্রের জলে। সেই জলেই বেড়ে উঠছে মাছ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী। সমুদ্রের জলে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছের দেহবাহিত হয়ে মানুষের খাবারে মিশতেও পারে।

প্রসাধন সামগ্রী কী দিয়ে তৈরি?

নিত্যদিনের শারীরিক পরিচর্যার সামগ্রীর মাধ্যমেও মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করতে পারে শরীরে। মাজন, স্ক্রাব, প্রসাধনী কেনার আগে দেখে নিন লেবেল। উপকরণের তালিকায় পলিথিন বা পলিপ্রপিলিন জাতীয় কোনও নাম রয়েছে কি? থাকলে অবিলম্বে ওই ধরনের পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করুন।

অন্য বিষয়গুলি:

Microplastic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy