মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে লম্বা সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সামান্থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
বিরল রোগ মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হন সামান্থা রুথ প্রভু। গত বছর সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। তার পর থেকেই অভিনেত্রীকে নিয়ে নানা মহলে চর্চা শুরু হয়। কখনও শোনা গিয়েছে, তিনি কাজ কমাচ্ছেন। কখনও আবার খবর এসেছে বেশ কিছু কাজ হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। মায়োসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে লম্বা সময় ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ এই রোগটিতে পেশিতে প্রদাহ বাড়ে। সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে তাঁর।
কড়া ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রোগের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন সামান্থা। কী ভাবে সুস্থতার পথে ফিরছেন তিনি, সে বিষয়ে অনুরাগীদের খবরাখবর দিচ্ছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুল আপ করতে ব্যস্ত সামান্থা। ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘কঠোর ডায়েটে থেকে বুঝতে পারছি আমরা যা খাই, তা আদতে শক্তি নয়, আমরা কী ভাবি সেটাই আসলে শক্তি!’’
সামন্থা জানিয়েছেন, তিনি অটোইমিউন ডায়েট করছেন। কিটো ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মতো ডায়েট নাম শুনলেও অটোইমিউন ডায়েটের সঙ্গে ততটাও পরিচিত নই আমরা। কেউ থাইরয়েড, আর্থারাইটিস, ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজ়িজ়, সেলিয়াক ডিজ়িজ়ে আক্রান্ত হলে পুষ্টিবিদরা অটোইমিউন ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেন। এই ডায়েটে মূলত এমন খাবারগুলি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখা হয়, যা শরীরে প্রদাহ তৈরি করতে পারে।
জিনগত কারণেও অটোইমিউন ডিজ়িজ় হতে পারে। তা ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, রোজের কিছু অভ্যাস ও শরীরে প্রতিরোধশক্তি কম থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার জন্য সকলের আগে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। ভাজাভুজি, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, ময়দা, চিনি, দুধের তৈরি খাবার একেবারেই খাওয়া যায় না এই ডায়েটে। এই সব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়াতে দায়ী। তবে নেটমাধ্যমে দেখেই এই ডায়েট শুরু করা উচিত নয়। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছা়ড়া হিতে বিপরীত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy