বাঙালির পেটের গোলমাল বারোমাসের। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলেই নানা শারীরিক সমস্যা এসে জাঁকিয়ে বসে। তার মধ্যে গ্যাস-অম্বল একেবারেই তালিকার প্রথমে। ঘন ঘন যাঁরা গ্যাস-অম্বলে ভোগেন, সেক্ষেত্রে ধরেই নেওয়া অন্ত্রের কোনও জটিলতা আছে। গ্যাস, অম্বল অন্ত্রের সমস্যার অন্যতম ইঙ্গিত। তবে সেগুলিই একমাত্র নয়। অন্ত্রে সমস্যা হয়ে থাকলে অন্য লক্ষণও প্রকাশ পায়। সেগুলি কী?
খাবারে অ্যালার্জি
কিছু খেলেই পেটের গোলমাল হয়? শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা না থাকলে, এমন হওয়ার কথা নয়। অল্প পরিমাণে খাবার খেয়েও যদি বমি, পেট ফাঁপা কিংবা তলপেটে ব্যথার মতো সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে সেটা অন্ত্রে জটিলতার কারণে হয়ে থাকতে পারে।
ওজনে ভারসাম্যহীনতা
কখনও ওজন বাড়ছে, আবার কখনও কমছে— ওজনের টানপ়ড়েনের নেপথ্যে থাকতে পারে অন্ত্রের গোলমাল। ওজন বাড়বে না কমবে, তা নির্ভর করে শরীরে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণের উপর। অন্ত্রে সমস্যা থাকলে এই পরিমাণ ঠিক থাকে না।
ঘুম না হওয়া
ঠিক করে ঘুম না হওয়ার নেপথ্যেও থাকতে পারে অন্ত্রের জটিলতা। অন্ত্রজনিত কোনও গোলমালের ফলে ইনসমনিয়া হতে পারে। অন্ত্রে সমস্যার কারণে সেরোটোনিন উৎপাদন বিপর্যস্ত হয়। সেরোটোনিনের অভাব ঘুমের ঘাটতি তৈরি করে।
শারীরিক দুর্বলতা
বিশেষ পরিশ্রম না করেও দু্র্বল লাগে মাঝেমাঝে? তা হলে অন্ত্রের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা আছে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে এবং ঘুমিয়েও যদি ক্লান্তি জাঁকিয়ে বসে শরীরে, তা হলে অন্ত্র নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।
ত্বকে অস্বস্তি
একজ়িমা, ব্রণ এবং অন্যান্য সমস্যার নেপথ্যেও রয়েছে অন্ত্রের গোলমাল। অন্ত্রে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হয়ে থাকলে, ত্বকে তার প্রভাব পড়ে। সব রকম সুরক্ষা নিয়েও যদি ত্বকের সমস্যা না কমে, তা হলে অন্ত্রের গোলমাল কমানোর কথা ভাবতে হবে।