ত্বকের সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে অশ্বগন্ধার ভেষজ গুণ। ছবি: সংগৃহীত
হাতে পায়ে ব্যথা, হালকা সর্দি-কাশি হলেই আমরা মুঠো মুঠো ওযুধ খেয়ে ফেলি। তাত্ক্ষণিক আরাম পেলেও অনেক ওষুধেরই পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। জানেন কি বাতের ব্যথা, অনিদ্রা থেকে বার্ধক্যজনিত সমস্যা— এ সব সমস্যা নিরাময়ে অশ্বগন্ধার কোনও বিকল্প নেই? যৌবন ধরে রাখতেও অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনস্বীকার্য। দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে এটি ৷ শুধু কী তাই, ত্বকের সমস্যাতেও দারুণ কাজ করে অশ্বগন্ধার ভেষজ গুণ।
অশ্বগন্ধার উদ্ভিদের মূল রাসায়ানিক উপাদান এলকালয়েড এবং স্টেরইডাল লেক্টন্স। এ ছাড়াও এতে আছে উইথেনাইন, এনাফেরিনিন, এনাহাইড্রিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
১। সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে। ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর ওষধু। চোখের ব্যথা দূর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী।
২। গ্যাস, আলসার, পেট ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। হজমের সমস্যা থাকলেও এই দাওয়াইয়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
৩। অশ্বগন্ধা গাছের রস শরীরে দ্রুত এনার্জি আনতে পারে। অশ্বগন্ধার মূল ও পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগের উপশমেও কাজে আসে।
৪। শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতেও অশ্বগন্ধার ভূমিকা অপরসীম। শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণও বাড়ায়।
৫। ভাল ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। এতে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
৬। মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা, যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, হঠাৎ সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করতেও অশ্বগন্ধার কোনও জবাব নেই। আমাদের মনোযোগ বাড়াতেও পারে এর ভেষজ গুণ।
৭। ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধার রস দারুণ উপকারী। ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ নির্মূল করে দিতে পারে এটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy