প্রতীকী ছবি।
অতিমারিতে সংক্রমিত হওয়ার চিন্তা হোক কিংবা পরিবারের কারও অসুস্থ হওয়ার ঘটনা— নানা ভাবে অশান্ত হয়ে পড়ছে মন। এ সময়ে নিজেকে যেমন সুস্থ রাখতে হবে, তেমন মনও শান্ত রাখা জরুরি। না হলে যেমন অফিসের কাজ ভাল ভাবে করা যাচ্ছে না, তেমন শান্তিতে ঘুম বা খাওয়াদাওয়ার মতো সাধারণ প্রয়োজনও মেটানো হচ্ছে না নিয়ম মেনে। কিন্তু এ সময়ে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা কী ভাবে সম্ভব?
আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে এসে তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুত্তমার মত, করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন কি না, তা ভেবে আগে থেকে আতঙ্কিত হওয়ার অভ্যাস কাটিয়েই চলতে হবে। এখন অনেকেরই কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝে শরীরের তাপমাত্রা, পালস্ পরীক্ষা করে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। নেটমাধ্যমে কোনও পরিচিত সংক্রমিত হওয়ার খবর দিলেই মনে হচ্ছে, আরও বুঝি এগিয়ে এল ভাইরাস। এ সবের সঙ্গেই বাড়ছে মানসিক চাপ। এতে লাভের বদলে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। তাঁর মতে, শুধুমাত্র আতঙ্ক দিয়ে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে না। বরং অনুত্তমার বক্তব্য, ‘‘যদি সত্যিই কোভিড হত, তবে আমাকে আমার উপসর্গ টর্চ নিয়ে খুঁজতে যেতে হত না। যখন আমাকে উপসর্গ খুঁজতে হচ্ছে, তার মানে তখনও কোভিড ততটা আসেনি।’’ মনোবিদের পরামর্শ, আগে থেকে উপসর্গ খুঁজতে বেরিয়ে নিজের সমস্যা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই তার জন্য যা যা করণীয়, করতে হবে। নিজের যত্নও নিতে হবে। যত ক্ষণ না দৈনন্দিনতায় সেই রোগের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে না, তত ক্ষণ এ নিয়ে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হলে আসলে শরীরের ক্ষতিই করা হচ্ছে।
সাবধানে থাকার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা এক বিষয়। আর করোনায় সংক্রমিত হলে কী কী সমস্যা হবে, তা ভেবে আতঙ্কে দিন কাটানো আর এক। ‘‘এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমরা এখন কী করণীয়, তা ভাবছি না। শুধু সমস্যা নিয়েই ভেবে যাচ্ছি’’, বলছেন অনুত্তমা। এ সময়ে আতঙ্ক এবং সাবধানতার মধ্যের ভেদ বুঝে নিয়েই নিজের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মনোবিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy