মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক একটি ব্যাক্টেরিয়া মানবদেহে যক্ষ্মা বা টিবির জন্য দায়ী। ভারতে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে এই সংক্রমণ হলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও অঙ্গেই হতে পারে যক্ষ্মা। এমন একটা সময় ছিল, যখন যক্ষ্মার নাম শুনলেই আঁতকে উঠত মানুষ। রোগী যেমন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতেন, তেমনই তার ধারেকাছে ঘেঁষতেও ভয় পেত চারপাশের লোকজন। কিন্তু ধীরে ধীরে এই রোগের সঙ্গে লড়তে শিখেছে মানুষ। বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়েও ফেলা যায় এই রোগ। এই রোগে এমন কিছু উপসর্গ থাকে, যা সাধারণ মনে হয় প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু সমস্যাগুলি যখন বাড়তে থাকে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই আগে থেকে জেনে রাখা ভাল, কোন উপসর্গগুলি মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
১) হঠাৎ রাতে ঘেমে গেলে সাবধান হোন। অনেকেই আবহাওয়ার কারণে গরম লাগছে ভেবে এড়িয়ে যান, কিন্তু নিয়মিত রাতে ঘুমের সময়ে ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) শরীর খারাপ থাকলে অনেকেরই খিদে পায় না। বহু দিন ধরে খিদে না পাওয়া কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়।

প্রায়ই বুকে ব্যথা হলে তা কখনওই ফেলে রাখবেন না। ছবি: শাটারস্টক।
৩) প্রায়ই বুকে ব্যথা হলে তা কখনওই ফেলে রাখবেন না। এমনকি এর পরিণতি হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।
৪) সর্দিকাশি হলে কেউই সে ভাবে গুরুত্ব দেন না। ধরে নেওয়া হয়, ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু অনবরত কাশি হওয়া এবং তার সঙ্গে রক্ত বেরোনো টিবি-র অন্যতম উপসর্গ।
৫) যক্ষ্মা ধীরে ধীরে শরীরে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরেও প্রভাব ফেলতে থাকে। যেমন পিঠে ও কোমরে ব্যথা। এ ছাড়া কিডনিতেও প্রভাবে ফেলে। তাই প্রস্রাবে রক্ত পেলেও সতর্ক হতে হবে। শরীরে ক্লান্তিভাবও আসতে পারে।