বার্ধক্যে খাওয়াদাওয়ার প্রতিও বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়লে সুস্থ থাকতে অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। পরিমিত খাওয়াদাওয়া, নিয়ম করে যোগাসন, প্রাণায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বার্ধক্যে খাওয়াদাওয়ার প্রতিও বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কমবয়সিরা টুকটাক মুখ চালাতে অনায়াসে মুখোরোচক খাবার মুখে পুরতে পারেন। কিন্তু বয়স বাড়লে ইচ্ছে করলেই তেলেভাজা, বাইরের মুখোরোচক খাবার খাওয়া যায় না। শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, বয়স বাড়লে তেল-মশলা জাতীয় খাবারের পরিবর্তে পেট ভরাতে ভরসা রাখা যেতে পারে আখরোট, বাদামের মতো কিছু ড্রাই ফ্রুটের উপর। ‘ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, বাদাম, খেজুর, আখরোট, পেস্তা, কাজুর মতো কিছু শুকনো ফল বয়সকালে শরীরের মেদ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৬৫ থেক ৭৯ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন মেদ ঝরাতে তাঁরা ভরসা রাখতে পারেন কিছু শুকনো ফলে। বয়স বাড়লে প্রতি দিন কমপক্ষে অন্তত ৩০ গ্রাম করে বাদাম এবং অন্যান্য খাবার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
বয়স বা়ড়লে ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই বয়স হলে বাদাম এড়িয়ে চলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাদামে রয়েছে ভরপুর উপকারী উপাদান। যা শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান। এ ছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের ক্রিয়াকলাপগুলি স্বাভাবিক রাখে।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে সপ্তাহে প্রায় চারটি বাদাম নুন ছাড়া খাওয়া প্রয়োজন। কোনও রান্নাতে ব্যবহার না করে কাঁচা বা শুকনো খোলায় ভেজে খাওয়ারই ভরসা দেন পুষ্টিবিদরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy