কমবয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগের বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে ক্রমশ। ছবি: আইস্টক
কমবয়সেও যে হৃদ্রোগ দেখা দিতে পারে, সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ। মে মাসে কলকাতায় গানের অনুষ্ঠান করতে এসে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকে-র। এই ঘটনা থেকে কয়েক মাস পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মারা যান বলি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক। কমবয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগের বাড়বাড়ন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে ক্রমশ।
হৃদ্রোগ শুধু প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যেই দেখা যায়। এমন ধারণা পোষণ করেন অনেকেই। তবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পর পর মৃত্যুর ঘটনা সে ধারণা যে কতটা ভ্রান্ত, তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
আধুনিক জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা না করা, প্রবল মানসিক চাপের মতো বিষয়গুলি উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। আর এই উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরেই জন্ম নেয় হৃদ্রোগ। সেই সঙ্গে স্থূলতার সমস্যাও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গবেষণা বলছে ৩৫-৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। বাইরে থেকে সুস্থ দেখালেও সব সময়ে বোঝা যায় না শরীরের অন্দরে কী চলছে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন।
২০১৫ সালে স্থূলতার কারণে প্রায় ৪ কোটি মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শরীরচর্চার প্রতি অবহেলা স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তা হৃদ্রোগের কারণ হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ওজন একেবারেই ভাল নয়। অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে এর ফলে। নিয়মিত শরীরচর্চা এর একমাত্র সমাধান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy