Advertisement
E-Paper

ক্যানসার গবেষণায় সাফল্য ভারতীয় গবেষকদের, কম দামে প্রাণ বাঁচাবে নিভোলুম্যাব ইমিউনোথেরাপি

মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্প্রতি ‘নিভোলুম্যাব’ নামের ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন। দেখা যায় ওষুধ স্বল্প হারে ব্যবহার করলেও সুফল পেতে পারেন ক্যানসার রোগীরা।

মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্প্রতি ‘নিভোলুম্যাব’ নামের ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন।

মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্প্রতি ‘নিভোলুম্যাব’ নামের ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেন। ছবি: প্রতীকী

সংবাদসংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:১৯
Share
Save

ক্যানসার চিকিৎসায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইমিউনোথেরাপি নামের এক চিকিৎসাপদ্ধতির। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের বাইরে এই চিকিৎসা আশার আলো দেখাচ্ছে বহু ক্যানসার রোগীকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই চিকিৎসা পদ্ধতি এত ব্যয়বহুল যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তার সুফল নেওয়া কার্যত অসম্ভব। সেই ছবিতে এ বার কিছুটা হলেও বদল আনতে পারে মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাম্প্রতিক এক আবিষ্কার। চিকিৎসক বিজয় পাতিলের নেতৃত্বে ‘নিভোলুম্যাব’ নামের একটি ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে, ওষুধটি এক দশমাংশ হারে ব্যবহার করলেও সুফল পেতে পারেন ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা।

‘লো-ডোজ় নিভোলুম্যাব’ নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতির কথা প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানপত্রিকা ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজিতে। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের দলটি মেটাস্ট্যাটিক হেড এবং নেক ক্যানসারে আক্রান্ত ১৫১ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালায়। পরীক্ষাতে রোগীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম দলে ৭৬ জন রোগীকে রাখা হয়। এই ভাগে সব রোগীকে অল্প মাত্রায় ‘নিভোলুম্যাব’ নামের এই ওষুধটি দেওয়া হয়। বাকি ৭৫ জনকে কেবল মাত্র প্রথাগত কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। দেখা যায় যাঁরা কেমোথেরাপির সঙ্গে নিভোলুম্যাব ওষুধটি অল্প পরিমাণে নিয়েছেন, তাঁদের ১ বছর পেরিয়ে আরও বেশি দিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৩.৪ শতাংশ।

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের দলটি মেটাস্ট্যাটিক হেড এবং নেক ক্যানসারে আক্রান্ত ১৫১ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালায়।

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের দলটি মেটাস্ট্যাটিক হেড এবং নেক ক্যানসারে আক্রান্ত ১৫১ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালায়। —ফাইল চিত্র

আন্তর্জাতিক ভাবে এত দিন এই ওষুধটি ব্যবহৃত হত অনেকটাই বেশি মাত্রায়। সপ্তাহে দু’বার ২৪০ মিলিগ্রামের ‘ফ্ল্যাট ডোজ়’ দিতে হত রোগীদের। এই গবেষণায় প্রতি ৩ সপ্তাহে এক বার ২০ মিলিগ্রাম ওষুধ প্রয়োগ করেন চিকিৎসকরা। তাতে যে সাফল্য মিলেছে তা দেখে চিকিৎসকদের দাবি, এতে প্রায় ৯৫ শতাংশ কমে যাবে চিকিৎসার খরচ। আগে বছরে প্রায় বাষট্টি লক্ষ টাকার মতো খরচ হত এই চিকিৎসায়, এখন বার্ষিক ৩.৫ লক্ষ টাকায় নেমে আসবে সেই খরচ। ফলে অনেক বেশি মানুষ চিকিৎসা করাতে পারবেন, আশা তাঁদের।

Cancer treatment Tata Memorial Hospital ChemoTherapy

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।