নতুন বছরে ডিটক্স ‘রেজলিউশন’। ছবি- সংগৃহীত
বছর জুড়ে উৎসব আর উদ্যাপনের পালা শেষ হওয়ার নয়। নতুন বছরের শুরু মানেই আবার নতুন উৎসবের জন্য দিন গোনা শুরু। আপাতত পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে সপ্তাহ জুড়ে পেটের উপর যে অত্যাচার চলেছে, সে কথা আর বলার নয়। কম বয়সে এত অন্যায়, অনাচার সহ্য হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটের নানা সমস্যা বিপাকে ফেলে। তখন ইচ্ছা থাকলেও সব খাবার চেখে দেখার উপায় থাকে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেটের সমস্যার মূল কারণ হল অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল না থাকা। বড়দিন, নতুন বছরের শুরুতে কেক, পেস্ট্রি, ময়দাজাত নানা রকম খাবার, মদ্যপান, কিছুই বাদ যায়নি। এই বদ অভ্যাসে অন্ত্রে প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। তাই উদ্যাপন শেষ হলেই শুরু করতে হবে ‘ডিটক্স’ প্রক্রিয়া। স্বাভাবিক উপায়ে জল দিয়েই অন্ত্রকে পরিষ্কার করা যায়। কিন্তু সারা দিন ধরে শুধু জল খেয়ে গেলেন, পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবারও খেয়ে গেলেন, এমনটা করলে কিন্তু আদতে কোনও লাভ হবে না।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে জল বা ডিটক্স পানীয় খাওয়ার পাশাপাশি আর কোন কোন অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি?
১) সময় মতো খাবার খাওয়া
সারা দিনে তিনটি বড় খাবার এবং মাঝে দু’টি হালকা খাবারের মধ্যে একটিও যেন বাদ না যায়। খাবারের পাশাপাশি, সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে অন্ত্রের গঠনগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২) শরীর আর্দ্র রাখুন
ডিটক্স পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে না গেলেও সারা দিনে অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খেতেই হবে। শুধু অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা নয়, জল সামগ্রিক ভাবে শরীরকে ভাল রাখতে সাহাস্য করে।
৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়া
উৎসবের ক’টা দিন যা অত্যাচার করে ফেলেছেন, এখানেই তার ইতি টানুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, ময়দাজাত খাবার একেবারে বাদ দিতে পারলেই ভাল।
৪) সবুজ শাকসব্জি খাওয়া
ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর শাকসব্জি অন্ত্রের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। তাই প্রতি দিন খাবারের তালিকায় শাকসব্জির অভাব যেন না থাকে।
৫) শরীরচর্চা করা
খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। হজমের সমস্যা দূর হয়। তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy