হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে সময় থাকতে রোগ ধরা পড়া এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই একমাত্র বিকল্প। ছবি- সংগৃহীত
মধ্যবয়সে পৌঁছতে না পৌঁছতেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক। কান পাতলেই এমন কথা শোনা যাচ্ছে চারদিকে। শুধু কি তাই? চিকিৎসা শুরুর আগেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মনে ভয় বাড়াচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনও লক্ষণ আগে থেকে প্রকাশ পাচ্ছে না। হালের গবেষণা বলছে, বয়স ৪০ পেরোনো বহু মানুষের শরীরেই লুকিয়ে থাকতে পারে হার্টের অসুখের নানা লক্ষণ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, হঠাৎ কারও হার্ট অ্যাটাক হল মানেই এমনটা নয় যে, রোগটি তৎক্ষণাৎ উদয় হল। আক্রান্ত হওয়ার বহু দিন আগে থেকেই রোগের বীজ শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। তা খালি চেখে ধরা পড়ে না। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ‘অ্যানাল্স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০ পেরোনো বেশির ভাগ মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো উপসর্গ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সিংহভাগই পরবর্তী কালে ‘ইস্কেমিক হার্ট ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ধমনীর গায়ে ছোট ছোট ‘প্লাক’ বা মেদের অংশ জমতে শুরু করলে হৃদ্যন্ত্রে রক্ত সঞ্চালনের গতি খানিকটা রুদ্ধ হয়। দীর্ঘ দিন ধরে তা জমতে জমতেই ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। আর সেখান থেকেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। গবেষকদের প্রধান ক্লজ় কোফোয়েড বলেন, “এ ধরনের গবেষণা এযাবৎ কালে প্রথম। ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার পর আমরা হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিয়েও আশাবাদী।”
গবেষকদের মতে, এ ধরনের রোগ যত আগে ধরা পড়ে, ততই ভাল। কারণ, বয়স বাড়লে এমনিতেই অন্য নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তখন জটিলতা আরও বেড়ে যায়। হৃদ্রোগ এবং ক্যানসারের ক্ষেত্রে সময় থাকতে রোগ ধরা পড়া এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই একমাত্র বিকল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy