খিদে থাকবে নিয়ন্ত্রণে, মেনে চলুন কিছু নিয়ম। ছবি: ফ্রিপিক।
ওজন কমাবেন বলে ডায়েট তো শুরু করলেন। কিন্তু টানা সাত দিন সকালে ওট্স, দুপুরে স্যালাড, রাতে ইয়োগার্ট খাওয়ার পরে চোখটা চপ-কাটলেটের দিকে যাবেই। তখন মন চাইবে বিরিয়ানি, রোল-চাউমিন খেতে। বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার যতই খান, মনটা সব সময় ভাজাভুজি বা ঝালমশলাদার খাবারের দিকেই চলে যায়। তখন সর্ব ক্ষণ মন খাই খাই করে। পেট ভর্তি থাকলেও মনের খিদে যায় না। আর এই প্রবণতার কারণেই ডায়েটেরও দফারফা হয়, আর ওজনও কমতে চায় না। জাঙ্ক ফুড দেখলে চোখের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে, পরিমিত খাওয়ার অভ্যাসকেই আদর্শ ডায়েট বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন চোখের খিদে? জেনে নিন কিছু উপায়।
১) ভাজাভুজি দেখলেই হাত বাড়াবেন না। ঝাল ঝাল খেতে ইচ্ছে হলে ছোলা বা মটর, শশা দিয়ে চাট বানিয়ে নিন। আইসক্রিমের স্বাদ মেটাতে পারেন ঠান্ডা ফ্রুট স্মুদি দিয়ে। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে কয়েকটি খেজুর মুখে ফেলে দিন। সঙ্গে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস। এই ভাবে বিকল্প খাবারের অভ্যাস করতে পারলে মন আপনা থেকেই তৈরি হয়ে যাবে।
২) ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ফাইবার পেটকে দীর্ঘ ক্ষণ ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ওট্স, বিভিন্ন ধরনের ডাল, সবুজ শাকসব্জি, ফল খেলে খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩) রোজের ডায়েটে কড়া নিয়ম না মেনে সুষম খাবার খান। যেমন ভাত খেলে এক কাপ, ডাল, সব্জি, মাছ বা মাংস ঘরে তৈরি খাবারই খান। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট পরিমিত পরিমাণে খেলে পেটও ভরবে, আর মনও। প্রতি দিন প্রোটিন রাখতেই হবে পাতে। চিকেন, ডিম, পনির, মাছ বা সয়াবিন খেতে হবে।
৪)খেতে বসার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত খিদে ভাবটা নষ্ট হয়ে যাবে। খাওয়ার আগে শরীরচর্চা করতে পারলেও বাড়তি খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৫) চিনি খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে। চা, কফি যা-ই খান না কেন, চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিনি শরীরে বেশি ঢুকলেই ‘ক্রেভিং’ বাড়বে। তখন অসময়ে বার বার খেতে ইচ্ছে করবে।
৬)অতিরিক্ত মদ্যপান করলে খিদের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অ্যালকোহল বিপাক-প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং শরীরে খাদ্যের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি করে।
৭)ডায়েটে বেশি করে স্যুপ ও স্যালাড রাখতে হবে। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না এবং পেট ভরা থাকায় বার বার খিদে পাবে না। ডায়েট করার সময়ে মনের উপর বেশি চাপ নেওয়া ঠিক নয়। জোর করে কড়া নিয়ম মানতে গেলেই উদ্বেগ বাড়ে। আর অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তখন মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy