আখের রস
গলা ভেজাতে অনেকেই যে পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি, শরীরের জন্য তা মোটেও উপকারী নয়। আসলে প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারচলতি পানীয়ও এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাজারের নানা সংস্থার সস্তা-দামি পানীয়তে অনেক সময়েই বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উপস্থি্ত থাকে, যা আমাদের দেহের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। চিকিৎসকেরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, তেষ্টা মেটাতে প্রাকৃতিক পানীয়ের শরণাপন্ন হতে। কারণ কৃত্রিম ভাবে স্বাদযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের চাইতে প্রাকৃতিক পানীয় অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞরা তাই বেশ কয়েকটি সহজলভ্য প্রাকৃতিক পানীয়ের সন্ধান দিয়েছেন।
১। ডাবের জল: ডাবের জলে যদিও ৯৫% শুধু জলই রয়েছে। কিন্তু এতে বেশ কিছু প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক খনিজের উপস্থিতিও খাদ্যবিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন। সাধারণ ভাবে মিষ্টি এই পানীয়টিতে অবস্থিত পটাশিয়াম মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
২। কম্বুচা: কম্বুচা হল বিশেষ ভাবে তৈরি এক ধরনের চা যাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন বি, গ্লুকোরনিক অ্যাসিড, পলিফেনল, প্রভৃতি নানা স্বাস্থ্যবর্ধক পদার্থ রয়েছে। এটি বিশেষ ভাবে ব্যাক্টিরিয়া এবং ইস্ট সহযোগে তৈরি হয়, যা শরীরের জড়তা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে।
৩। আখের রস: আখের রস খুবই সহজলভ্য একটি পুষ্টিকর প্রাকৃতিক পানীয়। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম এবং আরও নানা জরুরি পরিপোষক পদার্থ, যা শরীরকে চাঙ্গা করতে পারে খুব অল্প সময়েই। শুষ্কতা, জড়তা এবং পাচনতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে এই আখের রস।
৪। জলজিরা: জলজিরা হল শারীরিক শক্তিবর্ধক একটি সুস্বাদু প্রাকৃতিক পানীয়। বিভিন্ন মশলা থাকার ফলে চটজলদি শরীর তরতাজা করে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার। হজমের সমস্যা দূর করতে, পাচনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে এবং দেহের নিম্নাঙ্গের ব্যথা নিরাময়ের চিকিৎসায় এই পানীয় ব্যবহৃত হয়।
৫। ছাতুর শরবত: দরিদ্র মানুষজনের প্রোটিন বলে পরিচিত ছাতুর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা জরুরি উপাদান। ছাতুর শরবত শরীরের উষ্ণতা ঝটপট কমিয়ে আনে, ফলে গরমের দিনে এর জুড়ি মেলা ভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy