— প্রতীকী চিত্র।
আবহাওয়ার পরিবর্তন বা বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর, সর্দি, চোখে সংক্রমণ এখন ঘরে ঘরে। কিছু দিনের মধ্যে তা সেরে গেলেও অদ্ভুত এক স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মুম্বইবাসী। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা অতিমারির পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘জিবিএস’ বা গিলান-বারে সিনড্রোমের দেখা মিলেছিল। হাতে-পায়ে ব্যথা, ঝিঁঝি ধরা, অবশ হয়ে আসা থেকে পক্ষাঘাত— এই রোগের লক্ষণ। কারও কারও আবার মুখের এক পাশও পক্ষাঘাতে অবশ হয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইদানীং এই সংক্রমণজনিত জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পরে অনেকেই এমন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন বহু চিকিৎসক। হাভার্ড হেল্থ বলছে, স্নায়ুর এই জটিল রোগ গিলান-বারে সিন্ড্রোমের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। তবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে ফিজিয়োথেরাপি— এই রোগের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে বলেই জানা যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগলেও তা মারণব্যধি নয়। কিন্তু ব্যক্তিবিশেষে তা আবার মারাত্মক আকার ধারণ করতেই পারে।
গিলান-বারে রোগের আক্রান্ত হয়েছেন কি না, বুঝবেন কী করে?
১) হাত-পায়ের আঙুলে, পাতায় ঝিঁঝি ধরা, পিন ফোটার মতো অনুভূতি হলে, তা সব সময়ে সাধারণ কোনও কারণে না-ও হতে পারে।
২) পায়ের পাতা অবশ হতে হতে ক্রমশ দেহের উপরের দিকও অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হতে পারে।
৩) মুখের এক দিক ক্রমশ অসাড় হয়ে যাওয়ার ফলে কথা বলতে, খেতেও সমস্যা হতে পারে অনেকের। এই রোগে আক্রান্ত হলে চোখের মণিও স্থির হয়ে যেতে পারে।
৪) যে হেতু শরীরে কোনও সাড় থাকে না, তাই মলমূত্র ত্যাগ করতেও সমস্যা হতে পারে।
৫) এ ছাড়া অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন, রক্তের চাপ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy