খাওয়াদাওয়া থেকে নিয়মিত ওষুধ— কোলেস্টেরল জব্দ করতে সবটাই খুব মন দিয়ে করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
কোলেস্টেরলের সমস্যা উদ্বেগ বা়ড়াচ্ছে ক্রমশ। সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই রোগ শুধু যে বয়স্কদের মধ্যে হানা দিচ্ছে, তা নয়। সদ্য ৪০-এর কোঠা পার করেছে এমন অনেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।
একা কোলেস্টেরলে রক্ষা নেই, এই রোগের হাত ধরে আবার হৃদ্রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ডায়াবিটিসের মতো কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখাও বেশ কষ্টসাধ্য। খাওয়াদাওয়া থেকে নিয়মিত ওষুধ— কোলেস্টেরল জব্দ করতে সবটাই খুব মন দিয়ে করা জরুরি। অনেকে তা করেও থাকেন। কিন্তু এত চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোলেস্টেরল কমতে চায় না কিছুতেই। কারণ, কোলেস্টেরল ধরা পড়লে আরও কয়েকটি বিষয়ে কড়া নজর দেওয়া জরুরি। যেগুলি অনেকেই উপেক্ষা করেন।
শরীরচর্চা
নিয়মিত ওষুধ আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন মানেই কোলেস্টেরল বশে রয়েছে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। কোলেস্টেরল থেকে সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকলে কোলেস্টেরল আরও জাঁকিয়ে বসবে। শরীরচর্চা না করার ফলেই মূলত কোলেস্টেরল কমতে চায় না।
ধূমপান
কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকরা ধূমপান করতে বারণ করেন। কিন্তু সেই বারণ অগ্রাহ্য করেই সুখটান দেন নিয়মিত। তাতেই চড়চড় করে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা। ধূমপানের অভ্যাস কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে দেয় না।
ওজন
অতিরিক্ত ওজন কোলেস্টেরলের সমস্যার আরও একটি নেপথ্য কারণ। ওজন বাড়লে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে থাকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, কোলেস্টেরল শরীরে বাসা বাঁধলে ওজন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে।
দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা
এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। একই কারণে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ বাড়ে। কোলেস্টেরলের রোগীদের দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই হেঁটে নেওয়া জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ণয়
শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রার ওঠানামার উপর কড়া নজর দেওয়া জরুরি। এমনিতেই ৩-৬ মাস অন্তর কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততায় অনেকেই তা ভুলে যান। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে কি না, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। নয়তো পরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি বিপদসীমা পেরিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy