সীসার মতো ভারী, ক্ষতিকারক ধাতুর অস্তিত্ব পাওয়া গেল বিশ্বের একাধিক টুথপেস্টে! আমেরিকার শিশুদের মাজন সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণাকারী সংস্থা ‘লেড সেফ মামা’-র নেতৃত্বাধীন ল্যাব পরীক্ষার ফলাফলে বিপদের ঝুঁকি। মোট ৫১টি টুথপেস্ট নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে শিশুদের ব্যবহার্য টুথপেস্টও ছিল। জানা যাচ্ছে, ৫১টির মধ্যে অধিকাংশেই সীসার মতো বিপজ্জনক ধাতু পাওয়া গিয়েছে।
সেগুলির মধ্যে ৯০ শতাংশে সীসা রয়েছে, ৬৫ শতাংশে আর্সেনিক রয়েছে, ৪৭ শতাংশে মিলেছে পারদ এবং ৩৫ শতাংশে রয়েছে ক্যাডমিয়াম। এই টুথপেস্টগুলির মধ্যে কয়েকটি এমন সংস্থার পেস্টও রয়েছে, যা ভারতে ব্যবহৃত হয়।

৬ বছরের কম বয়সি শিশুরা সীসায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: সংগৃহীত।
‘লেড সেফ মামা’র কর্ণধার টামারা রুবিন বলছেন, ‘‘আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি, কেউ ভাবেইনি যে এই বিষয়টি উদ্বেগজনক।’’ ১২ বছর আগে টামারা এই সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়েই এই বিষয়ে প্রথম সন্দিহান হন। সেই সময়ে একাধিক পরিবারের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি টের পান, সেই পরিবারের ছোটদের রক্তে সীসার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। তার পর দেখা গেল, সেই পরিবারের সকলে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন। সেখান থেকেই কাজ শুরু টামারার।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার মায়ো ক্লিনিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ৬ বছরের কম বয়সি শিশুরা সীসায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সীসার মতো ভারী ধাতুগুলি। এমনিতেই সীসার কারণে হৃদরোগ, কিডনির রোগ এবং স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়।
টামারা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত একটিও মাজন নির্মাণকারী সংস্থা যথাযথ কোনও উত্তর তাদের দেয়নি। কেউ কেউ পরীক্ষাকে অস্বীকার করেছে মাত্র। এ ছাড়া কোনও সংস্থাই টুথপেস্টের মান উন্নত করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।