হাঁটুর ব্যথা থেকেই জন্ম নেয় আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ। ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। কোমরে যন্ত্রণা, হাঁটুর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো একাধিক রোগে ভুগে থাকেন অনেকে। হাঁটুর ব্যথা থেকেই জন্ম নেয় আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ।
ইদানীং অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর দু’টি ভাগ। অস্টিও আর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। অনেকেরই ধারণা যে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা জীবনভর চলতে থাকে। তবে চিকিৎসা ও সঠিক নিয়মে জীবনযাপনের মাধ্যমে ব্যথা কমানো সম্ভব।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে কতটা বদল আনবেন প্রাত্যহিক জীবনে?
ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে
যাঁদের শরীরের ওজন বেশি তাঁদের হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সঠিক মাত্রায় খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অনুশীলনের মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে রাখা জরুরি।
ব্যায়াম করুন নিয়মিত
বয়স বাড়লে অস্থিসন্ধিগুলি দুর্বল হতে শুর করে। শিও তার নিজস্ব কার্যক্ষমতা হারায়। এই অবস্থায় শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি সচল রাখতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। নিয়ম করে তাই শরীরচর্চা, যোগাসন, প্রাণায়াম করাটা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ধূমপান ত্যাগ করুন
শুধু হৃদ্যন্ত্র বা ফুসফুস ভাল রাখতেই নয়, ধূমপান ত্যাগ করার সুফল হিসাবে আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখুন
ডায়াবিটিস আক্রান্তদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬১ শতাংশ বেশি। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
পেশির যত্ন নিন
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, ভারী কোনও জিনিস তোলা বা স্কোয়াটিং করার সময় পেশিতে চাপ পড়ে। যাঁরা নিয়মিত এই কাজগুলি করে থাকেন তাঁদের আর্থ্রাটিসে ভোগার আশঙ্কা অনেকটা বেশি। তাই দৈনন্দিন জীবনে এই কাজগুলি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy