ঢোক গিলতে গেলেও কষ্ট হচ্ছে? কোন রোগের উপসর্গ?
ক্যানসার— এই মারণব্যাধি কিন্তু মহামারির চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এই রোগ। তবে এই মারণরোগের উপসর্গ সম্পর্কে এখনও সম্যক ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে কম। বিশেষত, ক্যানসারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন অনেক দিন পর্যন্ত কেউ কেউ বুঝতেই পারেন না, উপসর্গগুলির গুরুত্ব। পেরিয়ে যায় চিকিৎসার সময়। রোগটি এতটাই ভয়াবহ যে, তা ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগে না।
খাদ্যনালির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য কিছু উপসর্গ রয়েছে। তবে সেগুলি বেশ সাধারণ হওয়ায় অনেকের পক্ষেই বোঝা কঠিন যে এর কারণ ক্যানসার হতে পারে। মুখ, গলা ও খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের ক্যানসারকে ডেকে আনে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) প্রাথমিক পর্যায় শক্ত খাবার গিলতে অসুবিধা হবে। পরবর্তীতে তরল খাবার খেতে এমনকি, ঢোক গিলতেও কষ্ট হতে পারে।
২) হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বুক জ্বালাভাব, বার বার ঢেকুর ওঠা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৩) হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া। খাবারে অরুচি।
৪) দীর্ঘ দিন ধরে কাশি। রাতের বেলা শ্বাসকষ্ট। গলা ও বুকের মাঝখানে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার গিলতে গেলে।
৫) বমি বমি ভাব, ক্লান্তিবোধ, দুর্বলতা। খাওয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসা।
৬) একটানা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার সমস্যাতেও ভুগতে হয়।
৭) গলার স্বরেও বদল আসতে পারে।
যে ক্যানসারগুলির প্রকৃতি বিরল, তাদের লক্ষণগুলিও বিরল। তবে সব সময়ে মনে রাখতে হবে, উপসর্গ আছে মানেই সেটা ক্যানসার নয়। সেটি অন্য কোনও রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু এই উপসর্গগুলি থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করিয়ে নেওয়া শ্রেয় যে, আদৌ ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কি না।
এই প্রকার ক্যানসারের ঝুঁকি কী ভাবে এড়ানো যায়?
ধূমপান, মদ্যপান ও তামাক সেবন খাদ্যনালিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। তাই পুষ্টিকর খাদ্যাভাস করতে হবে, সঙ্গে শরীরচর্চাও জরুরি। ফুটন্ত চা, কফি পানের অভ্যাস ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy