Advertisement
E-Paper

Hormonal Imbalance: মন ভাল নেই? শরীরে ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়াবেন কী করে

মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কিছু হরমোনের ভারসম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

মনের চাবিকাঠি হরমোনে।

মনের চাবিকাঠি হরমোনে। ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২২ ১৫:২৭
Share
Save

শরীরের মতো মনও নানা ভাবে জানান দেয়, সে ভাল নেই। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামান্য সচেতন হলে এ-ও বোঝা যাবে, মন কেন ভাল নেই। শরীরের অনেক নিয়ন্ত্রকের মধ্যে অন্যতম হল হরমোন, তেমনই কিছু নির্দিষ্ট হরমোনের কম-বেশি প্রভাব সরাসরি পড়ে মানসিক স্থিতিতে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোটিন, এন্ডরফিন্‌স ও নরএপিনেফ্রিনের মতো পরিচিত নামগুলি আদতে মস্তিষ্ক ও শরীরের উপরে কতটা কার্যকর, তা সমস্যায় পড়ার পরে আমরা উপলব্ধি করি। এদের কার্যকারিতা খুবই সূক্ষ্ম অথচ প্রভাবশালী। এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলির ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার।

মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কিছু হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেই মুশকিল। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? কারও যদি মনঃসংযোগে সমস্যা হয়, অবসন্ন লাগে, কাজের ইচ্ছে চলে যায়, ধরে নেওয়া হয় মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা কমে গিয়েছে। সেরোটোনিনের নেতিবাচক প্রভাব খুব বেশি। যেমন, হাল ছেড়ে দেওয়া, অপরাধবোধে ভোগা, আত্মহত্যার প্রবণতা— ইত্যাদি উপসর্গ বোঝায় সেরোটোনিনের মাত্রার হেরফের। এর প্রকাশও অনেক বেশি। ঘুমের চক্র বিঘ্নিত হওয়া, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়াও এর অন্যতম উপসর্গ। নরএপিনেফ্রিনের ক্ষেত্রে শারীরিক উপসর্গ বেশি প্রকট। সারা শরীরে ব্যথা বা জ্বালা করা, চিনচিন করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম ভীষণ দরকার।

দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম ভীষণ দরকার। ছবি- সংগৃহীত

কোনও কোনও দিন মনে হতেই পারে, একদম কাজ করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে মন খারাপ হওয়াটাও স্বাভাবিক। তার মানেই কিন্তু অবসাদ বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। যদি সেই মনোভাব দু’সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, সঙ্গে পাল্টে যায় শরীর-মনের আরও কিছু ব্যবহার— তবেই মনে করা হবে, সেই ব্যক্তি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এবং এর নেপথ্যে রয়েছে কিছু হরমোনের তারতম্য।

এই সব উপসর্গের দাওয়াই কী?

১) দিনে অন্তত আট ঘণ্টার ঘুম ভীষণ দরকার। রাত জেগে মোবাইল ঘাটা, ওয়েব সিরিজ দেখার অভ্যাসে বদল আনতে হবে। রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারলে ভাল। বেলা ৩টের পর ক্যাফিনজাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকাই ভাল।

২) শরীরচর্চা শুরু করুন। কেবল ওজন কমাতেই নয়, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যেও ব্যায়ামের অনুশীলন করতে হবে।

৩) খাবারে প্রোবায়োটিকের মাত্রা বাড়ান। প্রোবায়োটিক থেকেই ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন স্নায়ুকে শান্ত করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তাই রোজের ডায়েটে দই, কলা, চিয়ার বীজ, আদা-রসুন বেশি মাত্রায় রাখুন।

৪) কাজের মাঝেও বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য সময় বার করে নিতে হবে। আড্ডা, আলাপ-আলোচনা করলে মেজাজ ভাল থাকে, মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে।

Hormone Mental Health

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।