কোন অভ্যাস বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি? ছবি- সংগৃহীত
পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে চার জনের মধ্যে এক জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুযায়ী, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার দেশে সব চেয়ে বেশি। কম বয়সে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বেশি বয়সে হৃদ্রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তবে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থেকেও এই হৃদ্রোগকে ঠেকাতে পারেন না অনেকে। চিকিৎসকরা বলেন, মানুষ নিজের অজান্তেই এমন কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, যা এই রোগকে হাতছানি দিয়ে ডেকে আনে। জানেন সেগুলি কী?
কোন কোন অভ্যাস বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি?
১) বাড়তে থাকা দেহের ওজন
একটা বয়সের পর থেকেই ওজনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে দেহের নিম্নাংশে মেদ বাড়তে থাকলে স্ট্রোকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। কারণ, বাড়তে থাকা ওজনের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলিও বাড়তে থাকে। বয়স বাড়লে এই লক্ষণগুলিই নিঃশব্দে হার্টের রোগকে ডেকে আনে।
২) শরীরচর্চায় অনীহা
যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। স্থূলত্ব যে কত রকম রোগকে আহ্বান করে, তা গুণে বলা যাবে না। তবে শরীরচর্চা মানেই যে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো, এমনটা নয়। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি দিন অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা হাঁটলেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া যায়।
৩) লিভারের যত্ন না নেওয়া
কথায় বলে পেট ভাল থাকলে সব ভাল থাকে। তবে হার্ট ভাল রাখতে গেলে লিভারের কার্য ক্ষমতা ভাল হওয়া প্রয়োজন। কারণ, হার্ট ভাল রাখতে যে উৎসেচকগুলি লিভার থেকে নিসৃত হয়, লিভারে মেদ জমলে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৪) অতিরিক্ত মদ্যপান
হৃদ্রোগ এড়াতে চাইলে রোজ অফিস থেকে ফেরার পর মদ্যপানের আসর বসানো বন্ধ করতে হবে। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। যা ধমনীতে মেদ জমতে সাহায্য করে। আর মেদ জমে ধমনীর পথ সঙ্কুচিত হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কিন্তু এড়াতে পারবেন না।
৫) অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস
খাওয়ার পাতে আলাদা করে নুন না নিলে খাবারে স্বাদই আসে না। এই অভ্যাসই কিন্তু বাড়িয়ে তুলছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি সারা দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ৫ গ্রাম নুন খেতে পারেন। এ ছা়ড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবারও বুঝে খেতে হবে। না হলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy