হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে লিভার তো নষ্ট হয়ই, সেই সঙ্গে সারা জীবনের মতো পঙ্গুত্ব গ্রাস করতে পারে। ছবি-প্রতীকী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মতে, যে কোনও প্রাণঘাতী অসুখের মতোই বিপজ্জনক হেপাটাইটিস। হু-এর পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতি বছর এই গরমের সময়ে ‘হেপাটাইটিস সি’-তে আক্রান্ত হন প্রায় ১০-১২ লক্ষ মানুষ।
হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে লিভার তো নষ্ট হয়ই, সেই সঙ্গে সারা জীবনের মতো পঙ্গুত্ব গ্রাস করতে পারে। শেষমেশ মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কিন্তু অনেকেই এখনও জানেন না, কেন এই রোগ হয়। এই রোগের প্রতিকারই বা কী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস রয়েছে। এগুলি হল হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই। চিকিৎসকদের মতে, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে সূচ, ইঞ্জেকশন, টুথব্রাশ এবং দাড়ি কাটার সরঞ্জাম থেকে হেপাটাইটিসের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে। তবে হেপাটাইটিসের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল জল ও রাস্তার খাবার।
হেপাটাইটিস রোখার উপায় কী?
রাস্তার জল একেবারেই খাবেন না। বাড়িতে ফোটানো জল, দোকান থেকে কেনা বোতলবন্দি জল কিংবা অ্যাকোয়াগার্ডের জল ব্যবহার করুন। ভুলেও কাটা ফল খাবেন না। পারলে সামনে দাঁড়িয়ে ফল কাটিয়ে খান। সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন রাস্তার খাবার। বিশেষ করে রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ঘন ঘন রেস্তরাঁয় যাওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন।
দাড়ি কাটার সরঞ্জাম একান্তই ব্যক্তিগত রাখুন। সালোঁতে গিয়েও চেষ্টা করুন নিজস্ব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে কিংবা নজর রাখুন সে সব উপাদান যেন পরিচ্ছন্ন হয়। অন্যের ব্যবহৃত চিরুনি, লিপস্টিক, আইলাইনার, কানের দুল না ব্যবহার করাই উচিত। নিরাপদ যৌনজীবনেরও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিশুদের ১ বছর বয়স থেকেই হেপাটাইটিসের প্রতিষেধক অবশ্যই নেওয়ান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy