বয়স ৩০ পেরোলেই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে যেমন চুলে পাক ধরে, ত্বক শিথিল হয়ে যায় তেমনই চোখের স্বচ্ছ লেন্স ঝাপসা হয়ে আসে। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। অনেকেই স্বল্প দৃষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করেই দিন কাটান। কিন্তু এর সুদুরপ্রসারী ফল হতে পারে মারাত্মক। দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের দিকে আমাদের নজর থাকলেও চোখকে আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। বয়স ৩০ পেরোলেই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করানো উচিত। আগে থেকেই সতর্ক হলে ক্ষতি কি? কেবল দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার ঝুঁকি নয়, এড়ানো যায় অনেক বড় ঝুঁকিও।
চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধল কি না তারও খোঁজ পাওয়া যায়। কোন কোন রোগ ধরা পড়ে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে, রইল তার হদিস।
উচ্চ রক্তচাপ
আমেরিকান একাডেমি অফ অফথালমোলজি অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপের অনেক লক্ষণ রয়েছে যা চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পাওয়া যায়। উচ্চ রক্তচাপ গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদির মতো সমস্যাগুলির কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথিও হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে রেটিনার রক্তনালিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়াবিটিস
ডায়াবিটিস রোগীদের চোখের সমস্যা লেগেই থাকে। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিস রোগীদের রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার এডিমা, ছানি এবং গ্লুকোমাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই সব রোগের কারণেই দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
ব্রেন টিউমার
চোখের চিকিৎসকরা কখনও কখনও চোখের পিছনের দিকে ফোলা লক্ষ্য করেন, এমনটা হতে পারে অপটিক স্নায়ুর পরিবর্তনের ফলে। এটি ব্রেন টিউমারের উপসর্গ। দৃষ্টিশক্তি হারানো, ঝাপসা দৃষ্টি, এমনকি একটি পিউপিলের আকারের পরিবর্তন মস্তিষ্কের টিউমারের উপসর্গ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy