— প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘নায়েগ্লেরিয়া ফাউলেরি’। লোকে বলে ‘ঘিলুখেকো অ্যামিবা’। শরীরে প্রবেশ করে এই অণুজীব বাসা বাঁধে মস্তিষ্কে। তার পরে কুরে কুরে খেতে থাকে মাথার কোষ। এমনই অ্যামিবার আক্রমণে মৃত্যু হল বছর পাঁচেকের এক শিশুকন্যার। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ। ঘটনা কেরলের মলপ্পুরম জেলার।
জানা গিয়েছে, ওই শিশুটি তার পরিবারেরই এক সদস্যের সঙ্গে বাড়ির পাশের নদীতে স্নান করতে নেমেছিল। তার পর থেকেই মাথায় যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব দেখা দেয় শিশুটির। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি নয়। সেখানেই প্রাণ হারায় শিশুটি। চিকিৎসকেরা বলছেন, নদীর জলের মধ্যে থাকা ওই পরজীবী হয়তো নাক, মুখ কিংবা কানের ছিদ্র দিয়ে সোজা চলে গিয়েছিল মস্তিষ্কে। এক বার মাথায় প্রবেশ করলে প্রায় ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে এই অ্যামিবা। এই প্রাণঘাতী অণুজীবের আক্রমণে ‘প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনজিয়োএনসেফেলাইটিস’ নামের একটি রোগ দেখা দেয়।
অ্যামিবা দেহে প্রবেশ করলে একই সঙ্গে মেনিনজাইটিস ও এনসেফেলাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয় রোগীর দেহে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাথা যন্ত্রণা, জ্বর ও বমি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কোমা ও তার পর মৃত্যু। অণুজীবটি দেহে প্রবেশ করার এক থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গ সৃষ্টির ৫ দিনের মধ্যেই সাধারণত মৃত্যু হয় রোগীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy