দইয়ের বদলে গ্রিক ইয়োগার্ট খাওয়া কি বেশি স্বাস্থ্যকর? ছবি: শাটারস্টক।
শরীর চাঙ্গা রাখতে হলে কিন্তু দই খাওয়া ভীষণ স্বাস্থ্যকর। গ্রীষ্মকালের পাশাপাশি বর্ষাতেও শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের উপর ভরসা রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে দই। তবে ইদানীং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দইয়ের বদলে গ্রিক ইয়োগার্ট খাওয়ার চাহিদা বেড়েছে। বলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এখন ডায়েটে সাধারণ দইয়ের বদলে গ্রিক ইয়োগার্ট রাখছেন। তবে কি গ্রিক ইয়োগার্ট দইয়ের থেকেও বেশি স্বাস্থ্যকর?
গ্রিক ইয়োগার্ট তৈরির সময় নানা প্রক্রিয়ায় ওয়ে ছেঁকে নেওয়া হয়। সাধারণ দইয়ে ওয়ের মাত্রা বেশি থাকে। ওয়ে হল ল্যাকটোজ় আর দুধের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা। এতে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ সাধারণ দইয়ের তুলনায় বেশি থাকে। তা ছাড়া, সাধারণ দইয়ের থেকে গ্রিক ইয়োগার্ট অনেক বেশি ঘন হয়। কী কী গুণ রয়েছে গ্রিক ইয়োগার্টে?
গ্রিক ইয়োগার্ট কি সাধারণ দইয়ের তুলনায় বেশি উপকারী?
পুষ্টিবিদদের মতে, দইয়ের তুলনায় গ্রিক ইয়োগার্ট খাওয়া বেশি বেশি স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি আমার রোগীদের সাধারণ দই খাওয়ারই পরামর্শ দিই। গ্রিক ইয়োগার্ট দইয়ের তুলনায় অনেকটাই দামি হয়। রোগীদের উপর আর্থিক চাপ বাড়ানোর পক্ষপাতী আমি নই। সাধারণ দইও ডায়েটে রাখলে শরীরের অনেক রকম সমস্যা দূর হয়। গরমে সাধারণ দই নিয়ম করে খেলেই হবে। তবে নিঃসন্দেহে গ্রিক ইয়োগার্টের পুষ্টিগুণ বেশি। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত জিমে যান, তাঁদের পেশিশক্তি বৃদ্ধি ও পেশির গঠন ও মেরামতির জন্য গ্রিক ইয়োগার্ট বেশি উপকারী।’’
১) গ্রিক ইয়োগার্ট হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়ামের অভাবে ভোগেন। তাঁরা যদি নিয়মিত গ্রিক ইয়োগার্ট খান, হাড়ের দুর্বলতার সমস্যা কমতে পারে।
২) গ্রিক ইয়োগার্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত গ্রিক ইয়োগার্ট খান, তাঁদের হৃদ্যন্ত্রজনিত রোগের ঝুঁকিও কমে।
৩) হজমজিত সমস্যা থাকলে গ্রিক ইয়োগার্টের উপর ভরসা রাখতে পারেন। অতিরিক্ত তেলমশলাদার খাবার হজম করতে বেশ কিছুটা সাহায্য করে।
৪) দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে কথা ভুল নয়। কিন্তু দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খেলে তবেই মিলবে এই সুফল। টক দই কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এই হরমোন বেশি মাত্রায় ক্ষরিত হলে স্থূলতার ঝুঁকি থাকে।
৫) গ্রিক ইয়োগার্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মরসুম বদলের সময়ে এই দই খেলে জ্বর, সর্দিকাশির সমস্যা কম হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy