শতাব্দী প্রাচীন আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আমলকি হল মহাঔষধি। সকালবেলা খালি পেটে একটু আমলকির রস বা জলখাবারের পর এক টুকরো আমলকির গুণে অনেক রোগ নিরাময় হয়ে যায়। বিশেষ করে শীত পড়ার মুখে যখন রোগ-জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত, তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা একটু হলেও বাড়িয়ে নেওয়া দরকার। বাইরে থেকে ওষুধ খেলে সাময়িক লাভ হয় ঠিকই। কিন্তু আমলকি ভিতর থেকে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি আর কী কী উপকারে লাগে?
১) রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
আমলকি কেটে কাঁচা খেতে পারলে খুবই ভাল। তবে এখন আমলকির রসও পাওয়া যায়। ভাল মানের আমলকির রস খেতে পারলেও একই কাজ হবে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, সংক্রমণ ছাড়াও হার্টের সমস্যা, ক্যানসারের মতো রোগও ঠেকিয়ে রাখা যায় নিয়মিত আমলকির ব্যবহারে।
আরও পড়ুন:
২) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
গরম থেকে ঠান্ডা এবং ঠান্ডা থেকে গরম পড়ার মুখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। ইসবগুল, ওষুধ খেয়েও অনেক সময়ে উপকার হয় না। সেই সময়ে আমলকি কিন্তু বিশেষ ভাবে কাজে আসে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে আমলকি।
৩) চুল পড়া আটকায়
শীতকালে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল হয়ে যান অনেকে। শীত পড়ার মুখে আমলকি খেলে এবং আমলকির রস চুলের গোড়ায় মাখতে শুরু করলে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
কী ভাবে আমলকি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন?
১) গরম জলে মধুর সঙ্গে প্রতিদিন আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) আমলকি ছেঁচে তার থেকে রস বার করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
৩) আমলকি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন আচার।
৪) চিনি খেতে যদি সমস্যা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বানিয়ে নিতে পারেন আমলকির মোরোব্বা।
৫) আমলকি কেটে রোদে শুকিয়েও খাওয়া যেতে পারে।