ঋতুবন্ধের পর শরীরের খেয়াল রাখা বাধ্যতামূলক। ছবি: সংগৃহীত।
পুরুষদের তুলনায় গড় আয়ু বেশি হলেও, শারীরিক ভাবে বেশি অসুস্থ হন মহিলারা। সমীক্ষা সে কথাই বলছে। মহিলাদের শরীরে হরমোনজনিত নানা বদল আসে। সেই কারণেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন মহিলারা। বিশেষ করে ঋতুবন্ধের পর থেকে অসুস্থতা পিছু ছাড়তে চায় না। ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মাঝে সাধারণত রজোনিবৃত্তি ঘটে। তার পর থেকেই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগবালাই। জীবনের এই পর্বে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। তা হলে অনেক অসুখ এড়ানো সম্ভব। ঋতুবন্ধ হলে তাই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। ছোটখাটো কোনও শারীরিক সমস্যাও এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। তবে শরীরের অন্দরে কী ঘটছে, সব সময় তা বাইরে থেকে বোঝার উপায় থাকে না। তবে কিছু শারীরিক পরীক্ষা যদি করানো যায়, তা হলে নিজেকে সুস্থ রাখার কাজটি সহজ হবে।
১) ঋতুবন্ধের পর ক্যানসার স্ক্রিনিং করানো দরকার। তাতে দ্রুত রোগ চিহ্নিত করা যায়। তবে ঠিক কোন ধরনের স্ক্রিনিং আপনার জন্য জরুরি, তা চিকিৎসকই বলতে পারবেন। তা ছাড়া চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোাগাযোগ রাখা জরুরি।
২) পেলভিক পরীক্ষা করানোও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের যোনি, জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্বাশয় কোনও রকম সংক্রমণ থাকলে, তা নির্ণয় করা সম্ভব এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
৩) ঋতুবন্ধের বহু বছর পর আবার রক্তপাত শুরু হলে ব্যাপরটা এড়িয়ে যাবেন না। এটি জরায়ুতে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ঋতুবন্ধের পর প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করানো দরকার।
ঋতুবন্ধ কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু এর জন্য পরে নানা অসুবিধা হতে পারে। তাই ঋতুবন্ধের পর চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ঋতুবন্ধের পর সমস্যাগুলি কী ভাবে মোকাবিলা করবেন, তা জানা দরকার। হতাশায় ভুগবেন না। চিকিত্সকের পরামর্শ নিলে পাবেন সুস্থ জীবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy