১০ বছর ধরে কোন রোগে ভুগছেন ইমন?
বিগত ১০ বছর ধরে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং এন্ডোমেট্রিয়োসিসে আক্রান্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। সম্প্রতি তাঁর মুখে একাধিক ব্রণর জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হয় ইমনকে। চেহারার কী হাল বানিয়েছ? বিশ্রী লাগছে! মুখশ্রী নিয়ে এ রকম হাজার রকম কটূক্তি শুনতে শুনতে বিরক্ত গায়িকা।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই সব কটূক্তির কড়া জবাব দিলেন ইমন। নিজের মুখের একটি ছবি শেয়ার করলে গায়িকা লিখেছেন, ‘ইস্!! ছিঃ!!! এগুলো কী? নিজের সঙ্গে এমনটা কী করে করতে পারলে? তোমার ত্বক খুব বাজে দেখাচ্ছে, তুমি নিজের একেবারেই যত্ন নিচ্ছ না। তোমায় বিশ্রী লাগছে। জানিয়ে রাখা ভাল, একে সিস্টিক অ্যাকনে বলে। এই সমস্যা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। গত দশ বছর ধরে আমি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং এন্ডোমেট্রিয়োসিসে ভুগছি। মেজাজ হারনো, তলপেটে ব্যথা, তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণ এখন আমার নিত্যসঙ্গী। সারা বিশ্বে ৯০ শতাংশ মহিলাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি জানি, আমি এক জন পারফরমার তবে আমি তো এক জন মানুষও বটে! আমি এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার প্রচণ্ড চেষ্টা করছি, আশা করি বেরিয়ে আসতে পারব। দয়া করে কারণ না জেনে কখনওই কোনও রকম মন্তব্য করবেন না। আমি আপনাদের ভালবাসি। তেমনই নিজেকেও বড্ড ভালবাসি। জয় জগন্নাথ।’
অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা যাঁদেরই আমরা পর্দায় দেখি তাঁরাও আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ। তাঁদেরও নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। তাঁদের প্রতি কোনও মন্তব্য করার আগে আরেকটু সচেতন হওয়ার বার্তাই দিয়েছেন ইমন।
সিস্টিক অ্যাকনে আসলে কী?
সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে ব্রণর সমস্যা দেখে দেয়। ধীরে ধীরে তা ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বেশি বয়সেও ব্রণর প্রবণতা কমছে না। বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক, যাঁরা নিয়মিত ব্রণর সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের দেখা যায় শরীরে হরমোনের তারতাম্য রয়েছে। সেই কারণেই ঘন ঘন কপাল, চিবুক, নাকের চারপাশ, গাল, ঘাড়, গলা, পিঠ, বুকে, এমনকি হাতেও ব্রণ হতে পারে। সেই কারণেই ত্বকে সেবাম কোষগুলি বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। তাই ত্বক চট করে তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। চুল ওঠার সমস্যা বেড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল হয়ে ফুলে ব্রণ বেরোয়। বেশির ভাগ ব্রণই বেশ বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কারও কারও হয়তো শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে।
পিসিওএস, এন্ডোমেট্রিয়োসিস রোগ থাকলে সিস্টিক অ্যাকনে হতেই পারে। এ ছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে, হজম না হলেও এই সমস্যা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে কোনও ঘরোয়া টোটকা নয়, ত্বকের চিকিৎসকের কাছে গেলেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy