অনিয়মিত ও অপুষ্টিকর খাদ্যাভাস মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। প্রতীকী ছবি।
খাবার আর মন—পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। যেমন ধরুন, মন ভাল করতে কখনও কখনও এক প্লেট বিরিয়ানি কিংবা পছন্দের কোনও চকোলেটই যথেষ্ট। ক্ষুধার্ত অবস্থায় কোনও কাজই সঠিক ভাবে করা যায় না। খালি পেটে মেজাজও খিটখিটে হয়ে থাকে। পুষ্টিকর ডায়েট আপনার মেজাজকে উন্নত করতে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে। কার্বোহাইড্রেট থেকে শুরু করে ভিটামিন ও মিনারেল মানসিক স্বাস্থ্যে উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। অনিয়মিত ও অপুষ্টিকর খাদ্যাভাস মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।
কার্বহাইড্রেট: যে কোনও কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন। এই শক্তি রক্তে থাকা গ্লুকোজ থেকে পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারই হল গ্লুকোজের মূল উত্স।
প্রোটিন: অন্য দিকে অনুভূতি বোঝার জন্যে মস্তিষ্কের প্রয়োজন অ্যামিনো অ্যাসিড। প্রোটিন সমৃদ্ধ সব খাবারের মধ্যেই আপনি অ্যামিনো অ্যাসিডকেও পেয়ে যাবেন। মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্য সম্পাদনের জন্য ওমেগা ৩ ও ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয় যা আপনি খাদ্য থেকেই পাবেন।
ভিটামিন ও খনিজ: শরীরে আয়রনের মাত্রা কম হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, কর্মক্ষমতা কমে যায়। অন্য দিকে শরীরে ফোলেট অভাব হলে মানসিক অবসাদ আসে। ভিটামিন বি-এর কারণেও আপনার সব বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।
ক্যাফিন: চা, কফি খেলেই আমাদের মন চাঙ্গা হয়ে যায়। শরীরে ক্লান্তি দূর হয়। অনেকেই চা-কফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। কোনও কারণে কফি না পেলেই মেজাজ বিগড়ে যায়, মাথা ব্যথা শুরু হয়।
বিভিন্ন রকম ডায়েট প্ল্যান: ওজন ঝরাতে অনেকেই হরেক রকম ডায়েট মেনে চলেন। ডায়েট শুরু করার প্রাথমিক দিনগুলিতে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। খিটখিটে হয়ে যান। ডায়েট করলে খাদ্যাভাসে হঠাত্ করে বদল আসে। তার প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy