রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গেলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ বলা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
ডায়াবেটিক রোগী এখন ঘরে ঘরে। যাঁরা নিয়মিত এই রোগের ওষুধ খান, তাঁদের অনেক সময়েই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার একটা সম্ভবাবনা থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া যেমন খারাপ, তেমনই মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়াও কিন্তু বিপজ্জনক।
রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গেলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ বলা হয়। এই সমস্যায় কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হয়। না হলে যখন তখন বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। হৃদ্রোগ থেকে শুরু করে, আরও বড় শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি, কেউ কোমাতেও চলে যেতে পারেন। তাই নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রার দিকে খেয়াল রাখা দরকার। শর্করার মাত্রা ৭০ একক বা তার নীচে নেমে গেলেই সাবধান হতে হবে।
শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেশ কমেছে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) হাত-পা কাঁপা
২) হঠাৎ শীত করা বা ঘাম হওয়া
৩) হৃদ্যন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়া
৪) খিদে পাওয়া
৫) বমি পাওয়া এবং তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হওয়া
৬) দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
৭) রাতে দুঃস্বপ্ন দেখা
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কী করবেন?
এ ক্ষেত্রে ‘আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’ একটি নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে। এটির নাম ‘১৫-১৫’ পন্থা।
যদি রক্তে শর্করার মাত্রা ৭০ এককের নীচে নেমে যায়, তা হলে ১৫ গ্রাম মিষ্টি কিছু খান। মধু, লজেন্স জাতীয় খাবার খেলে ভাল। এমন কিছু খেতে হবে যেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা চটজলদি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর পরে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তার পরে আবার মাপতে হবে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাতে যদি সংখ্যাটি ৭০ এককের উপরে ওঠে, তা হলে ভাল। যদি তা না হয়, তা হলে আবার ১৫ গ্রাম মিষ্টি খেয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
এ সব মেনেও যদি লাভ না হয় তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy