তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার দশা হয়। কড়া রোদে বেরোনোর আগে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘ ক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখে ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়।

অনেক ক্ষণ রোদে থাকার পর অনেকেরই চোখ জ্বালা করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের বাইরের দিকে উপরের অংশ ফুলে যায়। চড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে কিন্তু পরে ভুগতে হতে পারে। জেনে নিন, গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়ম মেনে চলতেই হবে।

১. কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরুন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

২. রোদচশমায় চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও রোদচশমা ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ (অতিবেগনি রশ্মি এ) এবং ইউভিবি (অতিবেগনি রশ্মি বি) দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে, এমন রোদচশমা ব্যবহার করাই শ্রেয়। রাস্তা থেকে অল্পদামি রংচঙে সানগ্লাসগুলি কিন্তু চোখকে সুরক্ষা দিতে পারে না, তই সতর্ক থাকুন।

৩. আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে, সে ক্ষেত্রেও আপনাকে রোদচশমা পরতে হবে। রোদচশমা ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

৪. গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। চোখ যদি খুব বেশি শুকিয়ে যায়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করুন।

৫. রোদ থেকে ফিরে চোখে খানিক ক্ষণ ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে পারেন। তবে সারা দিন বার বার চোখে জলের ঝাপটা দেবেন না। এই অভ্যাসে চোখ আরও বেশি শুকিয়ে গিয়ে, সমস্যা বাড়তে পারে।