কিডনির অসুখ ঠেকানোর উপায় কী? ছবি: শাটারস্টক।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কাজের চাপ, জীবনের নানা ব্যস্ততা, অনিয়ম আর অবহেলার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। দীর্ঘ দিনের অনিয়মের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে নানা ক্রনিক অসুখ। কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রে একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতিকর আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না।
যে কোনও বয়সে মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে কিডনির রোগ বাসা বাঁধতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, সে কারণে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এ ছাড়া, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের গর্ভকালীন ডায়াবিটিস এবং প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হওয়ার ঝুঁকিও থাকে, যা কিডনির সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে আবার কিডনিতে ক্যানসার বাসা বাঁধার ঝুঁকি বেশি। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত, পিঠে ব্যথা, হঠাৎ ওজন ঝরে যাওয়ার মমতো উপসর্গ দেখলে কিডনির ক্যানসারের বিষয় সতর্ক হোন। আধুনিক জীবনে কিডনির রোগে কাবু হচ্ছে ছোটরাও। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। জেনে নিন কিডনি ভাল রাখতে রোজের অভ্যাসে কী কী বদল আনা জরুরি?
১) শরীরে জলের ঘাটতি হলেই কিন্তু বিপদ। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে জলই সাহায্য করে। তাই জলের জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। জলের অভাব হলে কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে।
২) কিডনি বিকল হওয়ার অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। অনেকেই অভ্যাসবশত প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। দিনের পর দিন এই অভ্যাস কিন্তু বিপদ ডেকে আনে। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই বিকল হয় কিডনি। দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় কিডনিতে সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কাও বাড়ে।
৩) ডায়াবেটিকদের কিডনির অসুখের ঝুঁকি বেশি। তাই কিডনির হাল ভাল রাখতে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। এর জন্য ডায়েটে নজর দিন, হাঁটাহাঁটি করুন, শরীরচর্চায় মন দিন।
৪) সামান্য মাথাব্যথা হোক কিংবা পেটে ব্যথা— মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত বেদনানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy