দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততায়, বিশেষ করে যাঁরা রাত জেগে কাজ করেন, তাঁদের খাওয়ার সময়, শরীরচর্চা বা ঘুম কোনটিই ঠিক মতো হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
দেহের বাড়তি মেদ ঝরাতে গেলে প্রয়োজন উন্নত বিপাকহার। বিপাকহারে পরিবর্তন আনতে গেলে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম। কিন্তু দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততায়, বিশেষ করে যাঁরা রাত জেগে কাজ করেন, তাঁদের খাওয়ার সময়, শরীরচর্চা বা ঘুম কোনটিই ঠিক মতো হয় না। আর রাত জাগলে যে পেটের মেদ বাড়ে এ কথা কম-বেশি সকলেই জানেন। কিন্তু কাজের সময়ে যদি পরিবর্তন আনা সম্ভব না হয়, তা হলে কি কোমরের মাপ বাড়তেই থাকবে? পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে কাজ করলে খাওয়া, ঘুম এবং শরীরচর্চার সঙ্গে সঙ্গে দেহের পুরো চক্রটিই ব্যাহত হয়। যা শরীরে শুধু মেদ নয়, অন্যান্য রোগকেও আমন্ত্রণ জানায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রাত জেগে কাজ করতে অভ্যস্ত ছিলেন যাঁরা, তাঁরা একটা বয়সের পর ডায়াবিটিস, হার্টের রোগ এবং কিডনির রোগে আক্রান্ত হন। কিন্তু সবচেয়ে সমস্যার কারণ হল হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে দেহের মেদ বেড়ে যাওয়া। কিন্তু রাত জেগে কাজ করার পরও কিছু জিনিস আছে, যেগুলি মেনে চললে রাত জাগার এতটা খারাপ প্রভাব শরীরে না-ও পড়তে পারে।
কী কী মেনে চললে রাত জাগার খারাপ ফল শরীরে পড়বে না?
১) দেহের ওজন যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প করে খেতে হবে।
২) রাত জেগে কাজ করার সময়ে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর বাদাম, ছোলা, ভুট্টার খই, বিভিন্ন রকম বীজ রাখতে পারেন।
৩) রাতে খাবার পাতে স্যালাড, দই, নানা রকম সব্জি, জোয়ারের আটা দিয়ে তৈরি রুটি, সয়াবিন, পনির রাখা যেতে পারে।
৪) রাত জেগে থাকলে জল খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রাতে বেশি জল খেলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৫) রাত জাগলে বার বার ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খাওয়া যাবে না। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চলতে থাকলে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। পরবর্তী কালে অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy