কাজ, চাপ— কোনওটাই বদলাবে না। অথচ তার মধ্যেই ভাল থাকতে হবে। কাজের ব্যস্ততা, ইঁদুরদৌড়, অর্থোপার্জনের বাধ্যবাধ্যকতা অনেক সময় জীবনকে মাত্রাতিরিক্ত জটিল করে দেয়। আনন্দ-আহ্লাদ বাদ চলে যায়। জীবন যান্ত্রিক হয়ে ওঠে। কিন্তু কোনও কিছু না বদলালেও ছোট্ট কয়েকটি কৌশলে ভাল থাকা যায় বলছেন শিক্ষক, লেখক এবং হ্যাপিনেস এক্সপার্ট স্টেফানি হ্যারিসন।
ভুল মানেই ব্যর্থতা নয়: ভুল মানেই ব্যর্থতা, এ ভাবেই দেখেন অনেকে। তবে স্টেফানি বলছেন, ভুল সকলেরই হয়। তবে, ভুল হওয়াকে স্বাভাবিক ভাবে না নিয়ে সকলেই মনে করেন, সব কাজই নির্ভুল ভাবে সম্পাদন করবেন। তাঁর কথায়, ভুল কাজ করেও যে অভিজ্ঞতা হয়, সেটা ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য জরুরি। ভুলকে ব্যর্থতা হিসাবে না দেখে তা ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় রূপেও দেখা যেতে পারে। এতে জীবন সহজ হয়ে যায়।
সাহায্য নেওয়া দরকার: কাজ যত জটিল হোক, তা একাই সামলে নিতে পারবেন মনে করেন অনেকে। তার জন্য কাজের চাপ এবং জটিলতা দুই-ই বাড়ে। অথচ সে কাজে প্রয়োজন মতো অন্যের সাহায্য নেওয়াই যায়। স্টেফানি মনে করেন, ব্যক্তিগত সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অন্যান্য মানুষের সাহায্যও। প্রয়োজন মতো সেই সাহায্য নেওয়া উচিত।
বিরতি এবং অবসর জরুরি: লক্ষ্যপূরণে শুধু কাজ নয়, কাজের ফাঁকে বিরতিও দরকার। টানা কাজের বদলে কিছুটা ভাল সময় কাটানো, বিশ্রাম কর্মদক্ষতা বাড়াতে, সৃজনশীল ক্ষমতা বাড়াতে পারে বলেই মনে করেনি স্টিফানি। ভাল থাকার জন্য প্রতিদিন কাজের ফাঁকে বা কাজের শেষে নিজের জন্য সময় বার করা জরুরি। সপ্তাহান্তে কিছুটা ভাল সময় কাটালে তা মনোনিবেশে সহায়ক হয়।
জীবনে কোনটি জরুরি?
জীবনের অগ্রাধিকার কোনটি পাবে, সেটা বোঝা উচিত। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, সেই কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছা, চাহিদা, শখ আদৌ কি বজায় থাকছে? মূল্যবোধের দিকটিও একই সঙ্গে মাথায় রাখা প্রয়োজন।
ছোট ছোট লক্ষ্য: লক্ষ্য যদি বড় হয়, তার জন্য ছোট ছোট ধাপ তৈরি করা দরকার। সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য যা করা প্রয়োজন, সেই কাজগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এক একটি কাজ শেষ করার সময়সীমা নিজেকেই বেঁধে দিতে পারেন। প্রতিটি ধাপের সাফল্য ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।