— প্রতীকী চিত্র।
ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজতে গিয়ে হতবাক। দাঁত মাজার ব্রাশের পালকে রক্ত লেগে রয়েছে। অথচ কোনও চোট বা আঘাত তো লাগেনি! মাড়ির কোনও জায়গায় ব্যথা বা ফোলাও নেই। দাঁতও নড়ছে না। তা হলে এই রক্তপাতের কারণ কী? চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁত থেকে রক্ত পড়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের জটিল এক স্নায়ুর রোগ ‘ডিমেনশিয়া’র যোগ রয়েছে। তাই প্রথম অবস্থায় তা ধরা পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু করতে পারলেই ভাল। তবে আশার কথা হল, সময় থাকতে ধরা পড়লে মাড়ির এই রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায়। তবে তার আগে বুঝতে হবে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সঠিক কারণটি কী।
কী করে বুঝবেন, মাড়ির কোনও রোগ হল কি না?
চিকিৎসকেরা বলছেন, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ারও আবার চারটি পর্যায় হয়। যত তাড়াতাড়ি এই সম্বন্ধে সচেতন হতে পারবেন, রোগ তত তাড়াতাড়ি সারবে। সুস্থ মাড়িতে আঙুল দিলেই বোঝা যায়। অন্য দিকে, ‘জিনজিভাইটিস’-এ আক্রান্ত মাড়ি প্রথম পর্যায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি লালচে হয়। ফুলে থাকে, ব্রাশ ঠেকালেই রক্ত পড়তে শুরু করে।
পরবর্তী পর্যায়ে দাঁতের গোড়া থেকে মাড়ির কিছু অংশ আলাদা করে উঠে আসতে দেখা যায়। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘পেরিয়োডনটাইটিস’ বলা হয়। দু’টি দাঁতের মধ্যবর্তী অংশে ফাঁকা হতে থাকে। এখানেই ব্যাক্টেরিয়া নিশ্চিন্তে বাসা বাঁধতে শুরু করে।
এর পরের ধাপে ব্যাক্টেরিয়া পৌঁছে যায় দাঁতের গোড়ায়। সেখানকার লিগামেন্ট, তুলনায় নরম টিস্যু এবং হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের গোড়া নড়বড়ে হয়ে যায়। ঠিক এই সময় থেকে দাঁতে ব্যথা এবং মুখে দুর্গন্ধ হতে শুরু করে।
একেবারে শেষ পর্যায়ে মুখে সংক্রমণ বেড়ে যায়। দাঁত পড়ে যাওয়া এবং দুর্গন্ধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
বাড়িতে কী ধরনের চিকিৎসা করা যেতে পারে?
চিকিৎসা শুরু করার আগে খুব ভাল করে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন, সমস্যাটি ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে। একেবারে প্রথম দিকে এই ধরনের মাড়ির রোগ বাড়িতেই সারিয়ে ফেলা যায়। এ ক্ষেত্রে ‘ফ্লুরাইড’ যুক্ত মাজন দিয়ে দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজার পরামর্শ দিচ্ছে ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’। যদি খুব ব্যথা করে, সে ক্ষেত্রে ওই মাজনটি সরাসরি মাড়ির ওই নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে রেখেও দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দু-তিন মাস অন্তর ব্রাশটি বদলে ফেলতে পারলে ভাল হয়। তবে দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy