এক চিমটে কেশরের গুণে ত্বক, স্বাস্থ্য— সবই ভাল থাকবে। ছবি: সংগৃহীত।
বিরিয়ানি, কবাব থেকে ক্ষীর— এক চিমটে কেশরের ছোঁয়ায় সবই অতুলনীয় হয়ে ওঠে। তবে কেশরের অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। কেশর আসলে ফুলের পরাগ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজে ভরপুর এই উপাদানটি বহু প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হোমারের ‘ইলিয়ড’, ওভিডের ‘মেটামরফোসিস’ কাব্যতেও উল্লেখ রয়েছে কেশরের।
কেশরের মধ্যে এমন কী কী গুণ রয়েছে?
১) কেশরের মধ্যে ‘ক্রোসিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে। যে কারণে কেশরের রং লাল। এই উপাদানটি আসলে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে সহজে দেয় না।
২) ‘পাবমেড’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই ‘ক্রোসিন’ নামক উপাদানটি অবসাদ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অ্যালঝাইমার্স বা পার্কিনসন্সের মতো মস্তিষ্কের রোগের ক্ষেত্রে কেশর প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
৩) ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে প্রতি মাসেই শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। কারও মাথাব্যথা হয়, কারও পায়ের পেশিতে টান ধরে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কেশর।
৪) কেশর রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল, অর্থাৎ ‘এলডিএল’-এর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
৫) দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগছেন? কেশর কিন্তু রক্তে শর্করার হঠাৎ বাড়া-কমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। প্রদাহজনিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কেশর।
কেশর শরীরের ক্ষতি করতে পারে?
কেশর বা জাফরান এমনিতে নিরাপদ। তবে তা খেতে হয় মেপে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি কেশর খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ভেজাল মেশানো কেশর খেলেও সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy