অন্ত্রে জমা টক্সিন দূর করার উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
পেটের সমস্যায় জর্জরিত অধিকাংশ মানুষই। গ্যাস, অম্বল, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য— রোগের শেষ নেই। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে খাওয়ার অভ্যাস গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পেট ভাল না থাকলে মনও ভাল থাকে না। পেটের যোগ সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গেও। আর এই পেটের মধ্যেই রয়েছে অন্ত্র। দিনভর যা কিছু খাওয়া হয়, তার কতটুকু বিপাক হবে আর কতটুকু বাতিল হবে, তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে এই অন্ত্র। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে অন্ত্রের সুস্থ থাকা জরুরি।
এই বিষয়ে চিকিৎসক রণবীর ভৌমিক বলছেন, “মুখ থেকে শুরু করে খাদ্যনালি, পেট, অন্ত্র হয়ে মলদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল ট্র্যাক্ট’। এই পথ পরিষ্কার রাখলেই পেট ভাল থাকবে। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চার অভাবেই অন্ত্রের পথে যত গন্ডগোল হচ্ছে। ফলে পেটের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাচ্ছে।”
অন্ত্রের নিজস্ব কিছু রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আছে। রয়েছে কিছু উপকারী অণুজীব, যা বাইরে থেকে আসা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে নিষ্ক্রিয় করে সুস্থ রাখে শরীর। এই ভাল-খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সমতা নষ্ট হলেও কিন্তু অন্ত্রে সমস্যা হয়। ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাসই অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে নষ্ট করে দেয়। তখন পেটের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
অন্ত্রের সুস্থতার জন্য কী কী করা জরুরি?
১) সুষম খাবার খেতে হবে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ খাওয়া যেতে পারে সবই। তবে কম তেলে রান্না খাবার খেতে হবে। বেশি করে সবুজ শাকসব্জি ও ফল খেতে হবে।
২) শরীরের দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, আয়রন ও খনিজ। খাদ্যতালিকায় তাই রাখতে হবে সবুজ শাক, আনাজপাতি, টাটকা ফল। পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি খাওয়া ভাল। ফলের মধ্যে কলা, আঙুর কমলালেবু, নানা ধরনের বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি রাখতে পারেন।
৩) ওট্স, কর্নফ্লেক্স, ব্রাউন রাইস, বার্লি ইত্যাদি দানাশস্য খাওয়া ভাল। প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যেমন ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য খনিজ উপাদান এতে ভরপুর থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখে।
৪) রোজের খাবারে রাখতে হবে প্রোবায়োটিক। ঘরে পাতা দই খুব ভাল প্রোবায়োটিক। ভাত, চিঁড়ে, নানা ধরনের বাদামও অন্ত্রের মধ্যে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৫) কৃত্রিম প্যাকেটজাত যে কোনও খাবার, অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রাস্তার ধারের কাটা ফল, রঙিন পানীয়, সোডা খাওয়া চলবে না। পর্যাপ্ত জল খেতে হবে এবং ঘন ঘন চা-কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy