টেনে তুলবেন না নাকের চুল ছবি: সংগৃহীত
বাইরের অবাঞ্ছিত ধুলোবালি, ময়লা ও জীবাণু যাতে ‘নাকের ভিতর দিয়ে মরমে’ প্রবেশ না করতে পারে, তার জন্যই শ্বাসনালীর ছাঁকনি হিসাবে নাসিকারন্ধ্রে থাকে এক গুচ্ছ কেশ। কার্যকারিতা থাকলেও পিলপিল করে লাউ ডগার মতো বেরিয়ে আসে বলেই তার এত কুখ্যাতি। আর সেই জন্যই নাসারন্ধ্রের কেশবিন্যাসে মুগ্ধতা তো দূর, উল্টে সুযোগ পেলেই উপড়ে ফেলা দস্তুর। কিন্তু ইচ্ছা মতো নাকের চুল উপড়ে ফেললে ভালর তুলনায় মন্দের আশঙ্কাই বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কী কী করবেন না?
নাকের লোম তোলার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হল চিমটা দিয়ে আকশির মতো করে এক-একটি চুল টেনে তোলা। কিন্তু এতে নাসারন্ধ্রের রোমকূপগুলি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রক্তারক্তি হয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এই ধরনের সংক্রমণ দীর্ঘদিন থাকলে ক্যানসারের মতো বিপদও ঘনিয়ে আসতে পারে।
অনেকেই ওয়াক্সিং করান। এতেও দিন শেষে ক্ষতিই হয় নাসারন্ধ্রের। সব লোম উঠে আসলে ধুলোবালি বা জীবাণু আটকানোর ছাঁকনিটি নষ্ট হয়ে যায়। তা ছাড়া ক্ষতি হয় নাকের ভিতরের বিভিন্ন গ্রন্থিরও।
অনেকেই ওয়াক্সিং এড়াতে ব্যবহার করেন হেয়ার রিমুভার ক্রিম। কিন্তু এই ধরনের ক্রিমে নানা রকম কৃত্রিম রাসায়নিক থাকে, যা ব্যবহার করলে নাসিকার ভিতর প্রদাহ হতে পারে। ম্যুকাস গ্রন্থিগুলিও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কী করবেন?
নাকের চুলের বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। এ নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। তবু যদি নিতান্তই অস্বস্তিতে পড়েন, তবে পুরোপুরি উপড়ে ফেলার বদলে বাড়তি অংশগুলি ছেঁটে ফেলতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন ছোট কাঁচি। যদি ধৈর্য না থাকে, তা হলে নাকের চুলের জন্য বিশেষ ধরনের ট্রিমার পাওয়া যায়। ব্যবহার করতে পারেন সেগুলিও। তবে ছাঁটার পর জল দিয়ে নাক ধোবেন না। এতেও যদি সমস্যা না মেটে, তা হলে পরামর্শ নিন কোনও অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর। নিজে নিজে কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy