Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Child Obesity

চিপ্‌স, নরম পানীয় না পেলেই খুদে রেগে যায়? স্থূলতার ঝুঁকি কী ভাবে কমাবেন?

কখনও সিলেবাসের চাপে রাতের ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে না। কখনও আবার মা-বাবার প্রত্যাশার বহর চেপে বসছে শিশুর কাঁধে। এ সব কারণ শিশুদের মধ্যেও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে? কী ভাবে ওজন বাগে রাখবেন খুদের?

Symbolic Image.

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৩:০৩
Share: Save:

আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার ছায়া কেবল আমার-আপনার উপর পড়েনি, ছেলেবেলা থেকে জীবনের ইঁদুরদৌড়ে নেমে পড়েছে বাড়ির খুদে সদস্যটিও। কেবল পড়াশোনা করলেই তো হবে না, পাশাপাশি নানা গুণে পারদর্শী হয়ে উঠতে গিয়ে তাদের হাতেও সময়ের বড় অভাব। কখনও সিলেবাসের চাপে রাতের ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে না শিশুর। কখনও আবার মা-বাবার প্রত্যাশার বহর চেপে বসছে শিশুর কাঁধে। সেই চাপ 'স্ট্রেস' হয়ে কামড় দিচ্ছে শৈশবে। এ সব মিলিয়ে ডেকে আনছে খাওয়ার অনিয়ম, কম ঘুমের মতো অভ্যাস। যার জেরে স্থূলত্ব তাড়া করে বেড়াচ্ছে অকালেই।

সন্তান ওবিসিটির সমস্যায় ভুগছেন কি না, কী ভাবে বুঝবেন?স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার একমাত্র উপায় হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই) যাচাই করা। শিশুর বিএমআই যদি ৩০-এর উপর থাকে, সে ক্ষেত্রে ধরা যেতে পারে যে, সেই শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। ছোটবেলা থেকে ওবিসিটি গ্রাস করলে খুদের শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ইনসুলিনও ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত স্থূলতা শিশুর শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি, মানসিক সমস্যারও কারণ হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে শিশুর ওজনের দিকে বাবা-মায়েদের বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। সুস্থ জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শিশুর স্থূলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

Symbolic Image.

—প্রতীকী ছবি।

শিশুর মাত্রাতিরিক্ত ওজন প্রতিরোধ করতে বাবা-মায়েরা কী করবেন?

১) আজকাল শিশুরা শাক-সব্জি খেতে বিশেষ ভালবাসে না। পরিবর্তে ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাইরের খাবারই তাদের বিশেষ পছন্দ। এ ধরনের খাবারগুলি সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বাচ্চাদের বেশি করে শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়ান। পুষ্টিবিদের কাছে যান শিশুকে নিয়ে। ওর নির্দিষ্ট বয়সে ডায়েট চার্ট ঠিক কেমন হবে, তা মেনে চলুন তাঁদের পরামর্শ মতো। ডায়েট মানেই শিশুর সব প্রিয় খাদ্য বাদ, এমন নয়। চাইল্ড ডায়েটে চকোলেটও থাকে। তাই ভয় নেই। কেবল পরিমাণের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

২) খুদের বায়না মেটাতে যখন-তখন তাঁকে নুডল্স বা হিমায়িত খাবার এনে বানিয়ে দেওয়ার অভ্যাস থাকলে তাতে রাশ টানুন। প্যাকেটবন্দি স্যুপ ও নরম পানীয় থেকেও দূরে রাখুন খুদেকে। এ সবে থাকা অতিরিক্ত চিনি, রাসায়নিক, সোডিয়াম শরীরে ফ্যাটের মাত্রা বাড়ায়। তাই বাড়িতে তৈরি খাবারের উপর জোর দিন। টিফিনকে মুখরোচক করে তুলতে নতুন নতুন চটজলদি রান্নার রেসিপির খোঁজ করুন। একান্তই না পারলে হাত-রুটি, মুড়ি, ওট্স, চিঁড়ের পোলাও, সপ্তাহান্তে একটু-আধটু লুচি— এ সবে আস্থা রাখুন। নিয়ন্ত্রণ রেখে মিষ্টিও দিতে পারেন।

৩) সারা ক্ষণ খুদেকে বই নিয়ে বসিয়ে রাখলে হবে না, বাইরে খেলতেও পাঠাতে হবে। অন্যান্য গুণে দক্ষ করে তুলতে গিয়ে ওর ছুটোছুটি করার সময়টা কেড়ে নেবেন না। কাছেপিঠে খেলার মাঠ সে ভাবে না থাকলে বা খেলার সঙ্গী না পেলে যে কোনও যোগাসনের ক্লাসে বা সাঁতারে ভর্তি করিয়ে দিতে পারেন। তবে এগুলিকেও প্রতিযোগিতার ছলে নিলে চলবে না। হালকা চালেই অভ্যাস চলুক, স্রেফ শরীর ঠিক রাখতে।

৪) স্কুলে পড়াকালীন শিশুর বুদ্ধি ও দেহের বিকাশ ঘটে। তাই এই সময়ে ঘুমের সঙ্গে কোনও রকম আপস করলে চলবে না। যতই পরীক্ষার পড়াশোনার চাপ থাকুক না কেন, ঘুমের সময় যেন কোনও ভাবেই সাত-আট ঘণ্টার কম না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।

৫) বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে ছেলেবেলা থেকেই। জল খেলে বিপাক হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিপাক হার নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওজনও বাগে রাখা সম্ভব। শরীরে জলের ঘাটতি হলে শরীর জল জমিয়ে রাখতে শুরু করে, এতেও চেহারা ফুলে যায়। Post: খুদের বাড়তি ওজন কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

অন্য বিষয়গুলি:

Child Obesity Health Lifestyle Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE