Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Health

Pregnancy Tips: নতুন মা হতে চলেছেন? হবু মায়ের আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা ওজন বাড়াটাইস্বাভাবিক। তবে সর্বোচ্চ কতটা ওজন বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল আর কতটা না বাড়লেই নয়, তা জানা প্রয়োজন।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন বাড়বে এটা খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন বাড়বে এটা খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২২ ০৭:০৯
Share: Save:

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ মায়ের ভালমন্দের সঙ্গে ভাবী সন্তানেরও ভালমন্দ জড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে মায়ের ওজন বৃদ্ধির বিষয়টি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন বাড়বে এটা খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়। তবে সর্বোচ্চ কতটা ওজন বৃদ্ধি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল আর কতটা না বাড়লেই নয়, তা জানা প্রয়োজন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একজন মায়ের ১১ থেকে ১৫কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তবে এই ওজন বৃদ্ধি সবার ক্ষেত্রে এক রকম হয় না। এটি মূলত নির্ভর করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে মায়ের ওজন কেমন ছিল।

বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) হল উচ্চতা আর ওজনের অনুপাত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯। যাঁদের বিএমআই ১৯-এর কম , তাঁদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন ১৭ কেজি পর্যন্ত বাড়লেও স্বাভাবিক।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

গর্ভকালীন নয় মাসকে তিন ভাগে ভাগ করে ওজন বৃদ্ধির আদর্শ মাত্রা —

প্রথম তিন মাসে বাড়তে পারে— ০.৫-২.৫ কেজি।

পরের তিন মাসে প্রতি সপ্তাহে— ৫০০ গ্রাম-১ কেজি।

পরের তিন মাসে প্রতি সপ্তাহে— ১৫০ গ্রাম-১ কেজি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতার আশঙ্কা থাকে।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার প্রথম তিন মাসে ওজন খুব একটা বাড়ে না। বমি বমি ভাব, অরুচির সমস্যা দেখা দেয়। বমির কারণে অনেকেই খেতে পারেন না। গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর থেকে ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সুস্থ মা ও সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্য এই সময় মায়ের ওজন বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সঠিক ওজন বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন।

১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা প্রয়োজন।

২) এই সময় প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন— রুটি, ওটস, বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।

৩) শুধু ফাইবার নয়, মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, সয়াবিন, দুধ, তিসির বীজের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।

৪) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, হালকা ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।

৫) অতিরিক্ত তেল ও চর্বি দেওয়া খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

অন্য বিষয়গুলি:

Health Pregnancy Weight
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE