Advertisement
E-Paper

হাজার চেষ্টা করেও রোগা হতে পারছেন না? দিনে কত ক্ষণ ঘুমোলে দ্রুত ইচ্ছাপূরণ হবে?

সমীক্ষা বলছে, ঘুমের পরিমাণের উপর নির্ভর করছে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না। কঠোর ডায়েট করেও অনেক সময়ে ওজন কমতে চায় না। এর অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাব।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্ম হয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্ম হয়। ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৯
Share
Save

শরীরের সার্বিক সুস্থতার অন্যতম ভিত্তি হল ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্ম হয়। এমন অনেক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে, যার এক মাত্র দাওয়াই ঘুম। কম ঘুম শুধু শরীরের উপর প্রভাব ফেলে না, মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হয় এর ফলে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, হজমের গোলমাল— পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এই রোগগুলির কারণ।

সাম্প্রতিকতম একটি সমীক্ষা বলছে, ঘুমের পরিমাণের উপর নির্ভর করছে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না। ‘ইউরোপীয় কংগ্রেস অন ওবেসিটি’-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, কঠোর ডায়েট করেও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। তার অন্যতম কারণ ঠিক করে ঘুম না হওয়া। যাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন, ওজন কমাতে তাঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় না। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুষ্টিবিদরাও একই কথা বলছেন। তাঁদের মতে, ওজন কমানোর পর্বে ঘুম একটি বড় ভূমিকা পালন করে।

যাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন, ওজন কমাতে তাঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় না।

যাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোন, ওজন কমাতে তাঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় না। ছবি- সংগৃহীত

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা থাকে। ঘন ঘন মুখ চালাতে থাকলে রোগা হওয়া কঠিন। ঘুমের ঘাটতি এই মাঝেমাঝে খিদে পাওয়ার অন্যতম কারণ। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেই এই জন্য সারা দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। ঘুম কম হলে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে য়ায়। মানসিক অবসাদও গ্রাস করে এতে। অনেকে মনে করেন বেশি ঘুমোলে বোধ হয় ওজন আরও বেড়ে যায়। এই ধারণা একেবারে ঠিক নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যতটা ঘুম প্রয়োজন, তার বেশি ঠিক নয়। তাতে আবার উল্টে সমস্যা হতে পারে। সব সময়ে চাইলেই ঘুম আসে না। তার জন্য মানতে হবে কিছু টোটকা।

১) নিয়মিত শরীরচর্চা। রোজ অল্প কিছু ক্ষণ হলেও শারীরিক কসরতের প্রয়োজন রয়েছে। এতে ঘুমও ভাল হবে। আবার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

২) খেয়েই শুয়ে পড়বেন না। রাতেও তাই। হজম হওয়ার সময় দিন কিছু ক্ষণ। প্রয়োজনে হাঁটাহাঁটি করুন। কিছু ক্ষণ শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। খাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।

৩) ঘুমোতে যাওয়ার আগে অনেকেরই ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে। এতে ব্যাহত হয় ঘুমের চক্র। দ্রুত ঘুম আসতে চায় না। চিকিৎসকরা ঘুমোনোর আগে মদ্যপান করতেও বারণ করেন এ জন্য।

Weightloss sleep

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}