রাতে শোয়ার আগে জল খেতে ভুলে গেছেন? ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে টান ধরছে? সারা দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থেকে শরীর একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে? এই সব সমস্যার একমাত্র ঘরোয়া সমাধান ঈষদুষ্ণ জল। সকালে ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়া অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। হালকা গরম জল খেলে শরীরের সব কলকব্জা স্বাভাবিক নিয়মে চলতে শুরু করে। বিপাকহার ভাল হয়, ফলে পেটের সমস্যা বশে রাখা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল এই অভ্যাসে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু উপকারের আশায় গ্লাসের পর গ্লাস গরম জল খেয়ে যাওয়াও তো কাজের কথা নয়। তা হলে কতটুকু জল খাবেন?
আরও পড়ুন:
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার পর চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। বদলে খেতে হবে দু‘-তিন গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল। শুরুতে যদি এতটা জল খেতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এক গ্লাস জল খান। তাতেও সমস্যা হবে না। ধীরে ধীরে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।
সকালে জল খেলে কী কী উপকার হবে?
১) যাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে হাফ লিটার পর্যন্ত জল খান, তাঁদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা তুলনায় অনেক কমে যায়। এমনকি মলদ্বারের নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
২) সকালে খালি পেটে জল খেলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বা ‘টক্সিন’ বেরিয়ে যায়। এতে নানা অসুখের আশঙ্কা তো কমেই, পাশাপাশি আরও বহু উপকার হয় শরীরের। এর ফলে যেমন ত্বক ভাল হয়, তেমনই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুন:
৩) সকালে খালি পেটে জল খাওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে কোনও কিছু না খাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে খাবার হজম করার শক্তি বাড়ে।
৪) চিকিৎসকেরা বলছেন, পেটে অ্যাসিডের সমতা বজায় রাখতে পারলে খাদ্যনালির অসুখের আশঙ্কাও কমে যায়। তার জন্যও সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জল খেতে হবে। এমনকি খাদ্যনালীর ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে যেতে পারে এই অভ্যাসে।
৫) শরীরের বেশির ভাগটাই যে হেতু জল, তাই শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজে বিঘ্ন ঘটতেই পারে। সকালে ঈষদুষ্ণ জল খেলে এই সংক্রান্ত সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যেতে পারে।