শীতের রেশ আর নেই। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অনেক বাড়িতেই মাথার উপর ঘুরতে শুরু করেছে পাখা। মরসুম বদলের এই সময়টা শরীর এবং মনের জন্য খুব খারাপ। এই সময়ে যেমন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়, তেমনই বসন্ত বাতাসে অবসাদও ঘিরে ধরে। এই ধরনের মরসুমি বিষণ্ণতাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘সিজ়ন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’ বা ‘স্যাড’ বলা হয়।
আরও পড়ুন:
মনোবিদেরা বলছেন, ঋতুকালীন মনখারাপের বিষয়টির জন্ম হয়েছিল মূলত শীতপ্রধান দেশে। সেখানে যখনই আলো কমে আসে, ঝিরঝিরে বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হয়, তখন মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয়। ভারী তুষারপাত হলে ঘরের বাইরে বেরোনোও বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে অবসাদ আসা স্বাভাবিক। আবার বহু দিন সূর্যের আলো না দেখলে মনখারাপ হতে পারে। এটা যে শুধুমাত্র শীতপ্রধান দেশে সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়। এই গোলার্ধেও তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলেও এই ধরনের অবসাদ ঘিরে ধরে। স্বাভাবিক ভাবে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হতে গেলে পর্যাপ্ত রোদ প্রয়োজন। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে মন ভাল রাখার হরমোন, অর্থাৎ সেরোটোনিন উৎপাদন কমে যায়। ফলে মনমেজাজ বিগড়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী মাথায় রাখতে হবে?
আরও পড়ুন:
কী ভাবে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করবেন?
চিকিৎসকেরা বলছেন, সকালে খানিক ক্ষণ গায়ে রোদ মাখলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে। ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার, যেমন সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। একান্ত অন্য কোনও উপায় না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন রক্তে ভিটামিনের মাত্রা অতিরিক্ত না হয়।