খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা,বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি। ছবি: শাটারস্টক।
মাঝবয়স পেরোলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা ভাঁজ ফেলে কপালে। সেই দুশ্চিন্তা যে খুব একটা অসঙ্গত, এমনও নয়। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’, মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি। অধিকাংশ সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে গেলেও বোঝা যায় না। তাই সময় থাকতে উপসর্গগুলি চিনে নেওয়া জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এমন কথা কানে এলেই হাজার প্রশ্ন উড়ে আসে। কী খাওয়া বন্ধ করতে হবে, কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মারণ রোগ— আরও কত কী। কিন্তু কোলেস্টেরল যে মাত্রা ছাড়াচ্ছে, তা বোঝা যাবে কী ভাবে? প্রাথমিক পর্যায় রোগ ধরা পরলে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। গবেষকদের মতে, ত্বক সে কথা জানান দেয়। ইঙ্গিত বুঝে নেওয়ার উপায় জানা থাকলেই হল। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটলজি’র বক্তব্য এমনই।
ত্বকে কী ধরনের পরিবর্তন দেখলে সাবধান হতে হবে? কখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে?
১) শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে কমলা চাকা চাকা র্যাশ দেখা দেয় ত্বকে। তবে এগুলি সাধারণ র্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে। বিশেষ করে চোখের উপরে দেখা যায় এই ধরনের ফোলা ভাব।
২) অনেক সময়ে আবার মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। হাত কিংবা গলায় এমন দাগ দেখে অনেকেই মনে করেন অ্যালার্জির সমস্যা। কিন্তু তা নয়। কাছে গেলেই বোঝা যায়, এর মধ্যে তেলতেলে ভাব আছে। এই উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হন।
৩) অনেক সময়ে আবার হঠাৎ কিছু দিনের জন্য লালচে ভাব দেখা দেয় ত্বকে। তা আবার সেরেও যায় দিন কয়েকের মধ্যে। এ-ও হল কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ারই লক্ষণ।
৪) অনেক সময় দেখা মুখের মধ্যে বা যৌনাঙ্গে ঘায়ের মতো উপসর্গ। মাঝে মধ্যেই এমনটা হলে সতর্ক হন। কোলেস্টেরল হানা দিতে পারে শরীরে।
৫) শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তসঞ্চালন ব্যহত হয়। ফলে শরীরের কোষে কোষে রক্ত পৌঁছতে পারে না। এর ফলে চামড়ার রং গাঢ় হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনটা হলেও সতর্ক হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy