বাড়ি থেকে বেরোলেই স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিতে ভুললে চলবে না। ছবি সংগৃহীত
এক বার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুনরায় করোনাভাইরাস আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে না, এমন ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। নানা প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ি থেকে বেরোনো ছাড়া উপায় নেই। তবে অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী করে?
মুখে মাস্ক পরা কিন্তু বাধ্যতামূলক। তবে সঠিক পদ্ধতিতে কত জন মাস্ক পরছেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। বাড়ি থেকে বেরোলেই স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিতে ভুললে চলবে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি
১) আপনি কি আকাশপথে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? মনে রাখবেন যে, এতে আপনি কেবল নিজেকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন না, বরং অন্যদেরও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছেন। অনেকে কোভিডে আক্রান্ত হলেও এখন উপসর্গহীন। কোভিডের নয়া রূপ, ওমিক্রনে সংক্রমণের হার এতটাই বেশি যে, এই সময়ে বিমানে ভ্রমণ করা অবশ্যই একটি ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ। বাস, ট্রাম কিংবা মেট্রোয় যাতায়াত করলে অন্যদের থেকে ৬ ফুট দূরে থাকার কোনও উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে দু’ঠি মাস্ক ব্যবহার করুন। সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে।
২) করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা জনগণকে জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেন। তা ছাড়া, এই ভাইরাসটি একটি ঘেরা, ভিড়যুক্ত জায়গায় আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই কারণেই, একটি ভিড়যুক্ত রেস্তঁরার মধ্যে খাওয়া অবশ্যই খুব অনিরাপদ।
৩) এই সময়ে পার্টি, পিকনিক বিয়েবাড়িও এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বিশেষ করে ষাটের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের এ কথা খেয়াল রাখা জরুরি। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, কিডনি ও হার্টের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও সামাজিক সমাবেশ বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৪) পার্লার কিংবা সেলুনও এই সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। যতই আপনি মাস্ক পরে থানুন না কেন, সংক্রমণের ভয় কিন্তু থেকেই যায়।
৫) সিনেমা হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। আপনার পাশের লোকটিই যে কোভিডে আক্রান্ত নন, তা বোঝা মুশকিল। তাই বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে ওটিটি মাধ্যমে পাওয়া কোনও ছবি দেখুন। ঘর অন্ধকার করে হাতে এক বাটি পপকর্ন থাকলে আর কী চাই বলুন তো?
৬) শপিং মলগুলি থেকেও করোনাভাইরাস ছড়ায় দ্রুত। অজান্তে কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার আশঙ্কা এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। তাই আপাতত অনলাইন কেনাকাটায় ভরসা রাখতেন পারেন। তবে বাইরে থেকে কোনও জিনিস বাড়িতে এলে সেই বাক্সটি ভাল করে স্যানিটাইজ করে তবেই বাড়িতে ঢোকান। সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
খোয়াল রাখুন, প্রতিষেধক নিলেই যে আর সংক্রমণ ছড়াবে না, এমন ভাবার কারণ নেই। দু’টি টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও সতর্ক থাকা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy