কোন চায়ে লুকিয়ে যৌবনের চাবিকাঠি? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণ ত্বকে ইতিমধ্যেই বেশ প্রভাব ফেলেছে। বেশ কয়েক বছর আগেও, কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন বিভিন্ন কারণে না চাইতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ। প্রকৃতির নিয়মে বার্ধক্য একদিন আসবেই। সময়ের আগে এলে তা মোটেই সুখকর নয়। তবে কিছু অভ্যাসই পারে অকালবার্ধক্যকে দূরে সরিয়ে রাখতে। অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া আটকাতে ভরসা রাখতে পারেন জবা ফুলের উপর।
শুনতে অবাক লাগলেও, ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় দারুণ কাজে আসে জবা ফুল। প্রদাহনাশক গুণের কারণে অনেক দেশেই জবা ফুলের চা খাওয়ারও চল রয়েছে। ত্বকের যত্নের জন্য জবা ফুল ব্যবহার করতেই পারেন। এই ফুলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বককে বিভিন্ন রকম প্রদাহের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এই ফুল খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, রইল হদিস।
১) জবা ফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি। এই দুই উপাদান আপনার ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে, ত্বকে জেল্লা আসে দেখার মতো। মুখের দাগছোপও মিলিয়ে যায়। বোটক্স ট্রিটমেন্টের পরিবর্তেও এই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন।
২) ত্বকে কোনও স্থানে ক্ষত হলে, তা সারিয়ে তুলতে পারে জবা ফুল। এটি ত্বকে আর্দ্রতার ঘাটতি পূরণ করে। ফলে গরমেও জেল্লাদার ত্বক পেতে ভরসা রাখতে পারেন এই ফুলে।
৩) জবা ফুলের ডাইইউরেটিক গুণ রয়েছে। অর্থাৎ, জবা ফুলের চা খেলে কিন্তু আপনার শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে। এককথায়, শরীর ডিটক্স করতেও সাহায্য করে এই চা।
কী ভাবে খাবেন?
অনলাইনে খোঁজ করলেই বিভিন্ন সংস্থার হিবিসকাস টি (জবা ফুলের চা) পেয়ে যাবেন আপনি। এ ছাড়া হিবিসকাস পাউডারও পাওয়া যায় বাজারে। জলে গুলে এই পাউডার দিয়ে ডিটক্স ড্রিঙ্কও বানিয়ে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy